দেশজুড়ে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা
দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারকে বেধে দেয়া চার দিনের আলটিমেটাম শেষে ৩০ নভেম্বর, রবিবার সকাল থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি, বিশেষায়িত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার, ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতাল, ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মিটফোর্ড হসপিটাল,ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে।
কর্মবিরতি পালনের সময় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়কারী মো. রিপন শিকদার জানিয়েছেন, সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি ১১টা পর্যন্ত পালন করা হবে। পরে ৩ ডিসেম্বর তারিখে আধাবেলা (সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কর্মবিরতি এবং ৪ ডিসেম্বর পূর্ণ শাটডাউনে যাবে তারা।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সপ্তাহের কর্মসূচির রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিলেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ।
পরিষদের সমন্বয়কারী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (এম-ট্যাব) মহাসচিব মো. বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব ওইদিন লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছিলেন, এসব কর্মসূচির পরেও সরকার যদি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন না করে তাহলে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন শুরু হবে।
সেই আহ্বান অনুযায়ী, রবিবার সকালে রাজধানীর বাইরে কুষ্টিয়া, ফরিদপুরসহ জেলায় জেলায় হাসাপাতালগুলোতেও কর্মবিরতি পালন করে মানবন্ধন করছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
ডিবিটেক/এফএস/ইকে







