এমএনসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫
রবি-তে কুপোকাত গ্রামীণফোন

এমএনসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এর ফাইনালে গ্রামীণফোনকে ৪৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। বুধবার সান্ধ্য ম্যাচে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতেও মাঠের লড়াইয়ে কুপোকাত হয়েছে দেশের শীর্ষ অপারেটরটির ক্রিকেটাররা।
প্রথমে ব্যাট হাতে মাত্র ৩ ইউকেট খুইয়ে অন্তু-সুমনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে গ্রামীণফোনের সামনে ২২০ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় রবি। এর মধ্যে হার না মানা ৬৫ বলে ১২৩ রান করেন রবি’র জামিউল হক অন্তু। তাকে সঙ্গ দিয়ে অনবদ্য ব্যাটিং করেন লাতিফুল বারী সুমন। ২৭ বল খেলে তার সংগ্রহ ৪৯।
যদিও দলীয় ২৫ এবং ব্যক্তিগত ৪ রানে সাজ ঘরের পথ ধরেন সাকিব। সাঈদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। ৭ দশমিক ৩ ওভারে দলীয় ৫৯ রানে আহসানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুবিন (০৯)। ১১ রান করে ফিরে যান রঙ্গনও।
জবাবে প্রথম ওভারেই দৃষ্টিনন্দন চারের মার দিয়ে খাতা খুলে গ্রামীণফোন। সাবধানী শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত পোয়েটিকগেম ইন্টার বিপক্ষে টাই হওয়া ম্যাচে ফিরে ফাইনালে ফজলে রাব্বি-হেলাল উদ্দিন রাব্বি খোকা জুটি ৯ ওভারের দলীয় শতক পূরণ করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১০ ওভারের শেষ বলে রবির বোলার মবিন প্রথম আঘাত হানেন গ্রামীণ শিবিরে। ক্লিন বোল্ড করে খোকাকে সাঝ ঘরে ফেরান। একদশ ওভারের প্রথম বলে ৩৮ বল খেলে ৬০ রান করে মাহমুদুলের বলে লাতিফুল বারী সুমনের তালুবন্দি হন ফজলে রাব্বি। ঝলতে উঠার শুরুতেই ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে উড়িয়ে মেরে ধরাশায়ী হন আশফাক হোসাইন। আশিকের বলে মুকিতের তালুবন্দি হয়ে আশাভঙ্গ ঘটে গ্রামীনের ফোনের। বল হাতেও মুকিত শিকার করেন সাফায়েত ও সাদ্দামের উইকেট। বোলারদের তোপে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান তুলতেই শেষ হয় গ্রামীণফোনের ইনিংস। তাতে ৪৪ রানে হেরে যায় গ্রামীণফোন।
ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন রবির নিরীহ চেহারার দুপুটে ব্যাটার জামিউল হক অন্তু। সাত ম্যাচ খেলে ৪৭১ রান করেন তিনি। টুর্নামেন্টে ১১টি উইকেট শিকার করে সেরা বোলার হয়েছেন রবির সুদীপ্ত দাস।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির হেড অব অপারেশন ফুয়াদ বিন সাজ্জাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করপোরেট লিজেন্ড ও টুর্নামেন্ট অ্যাডভাইজার শেহজাদ মুনিম।
এ ছাড়া গ্রামীণফোনের সিএফও অটো মাগনে রিসব্যাক, রবি আজিয়াটার হেড অব এফএএমআর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রিয়াদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে দুই দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
চ্যাম্পিয়ন দলনেতা সাকিব আহমেদ বললেন, শুরুতে কেউই ভাবতে পারেনি রবি টুর্নামেন্ট জিতবে। দমে দলের সদস্যরা তা করে দেখিয়েছে। অপরদিকে পুরস্কার নেয়ার আগে গ্রামীণফোনের ক্যাপ্টেন জাহিদুজ্জামান বললেন, টুর্নামেন্টটা অসাধারণ ছিলো। আমরা আশাকরি এই টুর্নামেন্ট আরো বড় পরিসরে হবে।
দেশের ছয়টি শীর্ষস্থানীয় মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান—গ্রামীণফোন, রবি, জাপান টোব্যাকো, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন, পোয়েটিকগেম ইন্টা. ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়। এতে করপোরেট পেশাজীবীরা ক্রিকেটের প্রতি এক অভিন্ন ভালোবাসায় একত্রিত হন। গত ২৬ এপ্রিল এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির আয়োজনে এমএনসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ক্রিকেট উৎসবের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। টুর্নামেন্টের সহযোগিতায় ছিল গোল্ড জিম বাংলাদেশ।