কুয়েট : ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে শিক্ষাথীদের আনন্দ মিছিল

শিক্ষার্থীদের অনশনের মধ্যে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রো ভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরুর খবরে ক্যাম্পাসে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
টানা ৫৭ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১ টার পরে তারা অনশন ভাঙেন। অনশন ভাঙান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিদলের সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক সাইদুর রহমান। এসময় এই দলের অপর দুই সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তনজিমউদ্দীন খান, এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব আহমেদ শিবলী উপস্থিত ছিলেন।
অনশন ভেঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বিজয় হয়েছে। সত্য কখনো হারে না !ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ভিসির পদত্যাগ নয়, পতন হয়েছে।
পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন।
এর আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
এই পরিস্থিতিতে কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে বসেন। শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল অনশন ভাঙাতে গেলেও ব্যর্থ হন। আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন।