জুলাই আন্দোলন নির্মূলে অপরাধের ডিলিট হওয়া তথ্য-প্রমাণ পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে

জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত অপরাধের ডিলিট হওয়া তথ্য প্রমাণাদি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুনরুদ্ধারের কাজ করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই সরকারের আজ্ঞাবহ ব্যক্তিরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যপ্রমাণ বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। থানা, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দলিলপত্রাদি পুড়িয়ে বা লুকিয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন অপরাধমূলক স্থাপনার আকার আকৃতি, দেয়াল ইত্যাদি ভেঙ্গে এবং বিকৃত করে প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করেছে।বিভিন্ন ডিজিটাল এভিডেন্স, যেমন ভিডিও, অডিও, ইন্টারনেট ডাটা ইত্যাদি ডিলিট করা বা ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাগণ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিলিট হওয়া সকল তথ্যপ্রমাণাদি রিকভারির করার কাজ করে চলেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের সাথে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার তিনি এই তথ্য দিয়েছেন। রবিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে। টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।