মেডিকেলে ভর্তি কোটা বাতিলের দাবিতে আল্টিমেটাম

২০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১০:২২  
মেডিকেলে ভর্তি কোটা বাতিলের দাবিতে আল্টিমেটাম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রেখে ফলাফল প্রকাশের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ফলাফল বাতিল করে পুনরায় প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে ‘অবিলম্বে ফলাফল বাতিল করো করতে হবে’, ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, ‘মেডিকেলের ফলাফল-পুনঃপ্রকাশ করতে হবে’ শিক্ষার্থীরা আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; মেডিক্যালে কোটা কেন, প্রশাসন জবাব চাই; ৪০ পেয়ে চান্স হয়, ৭৩ কেন বাদ হয়; আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ নানাস্লোগান দেন তারা।

সাড়ে ১১টায় কোটা বাতিল করে আজকের মধ্যে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের আল্টিমেটাম দেয়া হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে। এসময় সর্বস্তরের মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসকবৃন্দ এবং সর্বস্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে তাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রয়োজনে আমরা ঢাকা মেডিকেলসহ সারাদেশের সব মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামবো। সুতরাং এই আন্দোলনকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আজকের মধ্যেই ফলাফল বাতিল করতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও শিক্ষকরা এসে সংহতি জানান।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক আব্দুল ওহাব বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ বা ৪১ পেয়ে অনেকে চান্স পেয়েছে অথচ এর ডাবল মার্ক পেয়েও অনেকে চান্স পায়নি, এটা কি বৈষম্য না?”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “তোমরা যেহেতু রাজপথে নামতে শিখেছ সেহেতু রাজপথ থেকেই তোমাকে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। এছাড়াও আজকের মধ্যে সকল ধরনের কোটার বিলুপ্তি ও ফলফল পুনঃপ্রকাশ করতে হবে। আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছি।

মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

তিনি বলেন, ”গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি মেডিকেলে অযৌক্তিক বৈষম্যমূলক কোটা চালু রয়েছে। অনেকে ৭২ নম্বর পেয়েও চান্স পায়নি অথচ অনেকে ৪০ পেয়েও চান্স পেয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও পোষ্য কোটাসহ অযৌক্তিক কিছু কোটা রয়ে গিয়েছে। আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃপ্রকাশ করা হয়।“

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দোহা বলেন, “বৈষম্য বাতিল বাতিল চেয়ে কোটার সংস্কার চেয়ে একটি সফল আন্দোলনের পরেও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের কোনো দরকারই ছিল না।

কবি জসিম উদদীন হলের শিক্ষার্থী নুরুল গণি সগীর বলেন, ‘২৪ এর রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, এখনই আমরা পুনরায় বৈষম্যমূলক নীতির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এত রক্তের পরও আমাদের আবার মাঠে নামতে হচ্ছে।’

এ সময় তিনি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাদের ডাকে আমাদের হাজার হাজার ভাই আহত ও নিহত হয়েছেন। তাদের যে দাবি ছিল, সেই দাবি পূরণ করতেই আপনাদের আমরা উপদেষ্টা বানিয়েছি, আপনারা যদি সেই শিক্ষার্থীদের ভাষা না বোঝেন তাহলে আপনাদের সেখানে থাকার দরকার নেই। আপনারা ওখানে বসে থাকার পরও কেন আজ আমাদের কোটা নিরসনের দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে?’