অনুমোদিত মোবাইল বিক্রয়কেন্দ্র ও ব্র্যান্ড শপ খোলা থাকবে: এমআইওবি
আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালুর মাধ্যমে এর পরের সময়ে দেশের বাজারে অবৈধভাবে আমদানিকৃত এবং ক্লোন করা মোবাইল ফোন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর প্রতিবাদে ১৯ নভেম্বর, বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দেশে সব মোবাইল ফোন বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)।
তবে বিকেলেই এই ঘোষণা-কে 'বিভ্রান্তিকর' বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত দেশের ১৮টি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'আমরা আমাদের ককল সম্মানিত ক্রেতা ও অংশীজনকে নিশ্চিত করতে চাই. বাংলাদেশে বৈধ মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সকল অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্র ও ব্র্যান্ড শপ স্ব-স্ব মার্কেটের নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবেই খোলা রয়েছে ও খোলা থাকবে।'
'দেশের কোথাও বৈধ দেকান বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশ, পরিকল্পনা বা পরিস্খিতি নেই' - বলেও জানায় সংগঠনটি।
অপরদিকে এনইআইআরের নামে মোবাইল মার্কেট সংকুচিত করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভোর রাত তিনটার দিকে বাসা থেকে ডিবি হেফাজতে নেয়া এমবিসিবি'র সেক্রেটারি ও সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী আবু সাঈদ পিয়াসকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। তবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর নতুন করে ওই সংগঠনটি আর কোনও কর্মসূচি দেয়নি।
তবে বসুন্ধরা সিটি মোবাইল মার্কেট, মোতালেব প্লাজা ও স্টার্ন প্লাজার মোবাইল মার্কেটগুলো আগে থেকেই বন্ধ রেখেছিলো ব্যবসায়ীরা। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মোবাইল বিক্রির ব্র্যান্ড আউটলেটসহ রাজধানীর বাইরের মোবাইল আউটলেটগুলোতে বিক্রি স্বাভাবিক ভাবেই চলেছে বলে জানা গেছে।
ডিবিটেক/আরজে/ইক







