১৭ নভেম্বর: অবাঞ্ছিত বন্ধুদের ছাঁটাই করার দিন

১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:১৩  
১৭ নভেম্বর: অবাঞ্ছিত বন্ধুদের ছাঁটাই করার দিন

ব্যস্ততা ও বাস্তবতার কষাঘাতে আশীর্বাদ সোশ্যাল মিডিয়া। নেটদুনিয়ার কল্যাণে স্বজন- যোজন দূরে থাকলেও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম কিংবা এক্স প্রতি মূহর্তই আমাদের রাখছে সংযুক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় নয় এমন মানুষ এখন হাতে গোনা। ফলে পারিবারিক বলয় পেরিয়ে এলাকা; দেশ-বিদেশ জুড়ে ভার্চুয়াল এই সমাজে এখন তাই বন্ধুর অভাব নেই আজ। এই নেট-বন্ধুত্ব আবার বন্ধুরও হয়ে ওঠে কখনও সখনও। 

এমন বাস্তবতায় সহজপ্রাপ্য এসব প্ল্যাটফর্মেই প্রিয় মানুষদের পাশাপাশি যোগ হয় অনেক অচেনা, অপ্রয়োজনীয় কিংবা বিরক্তিকর মানুষও। চাইলে অনেক সময়ই তাদের আনফ্রেন্ড করা সম্ভব হয় না। তবে ১৭ নভেম্বর, যেন আসে সেই সুযোগ নেওয়ার বিশেষ দিন হিসেবে। দিনটি ‘আনফ্রেন্ড দিবস’  বা বন্ধু ছাঁটাই করার দিন। 

‘বন্ধু’ শব্দটি বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হলেও ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়েছে সামাজিকমাধ্যমের যুগে। ২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ বা ‘বন্ধু ছাঁটাই করার দিন’ প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেয়া। এরপর   অক্সফোর্ড ডিকশনারির ২০০৯ সালের সেরা শব্দ ছিল 'আনফ্রেন্ড'। যার সংজ্ঞা হলো- ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে 'বন্ধু' তালিকা থেকে বাদ দেয়া।

বিশ্বের বহু দেশেই আনন্দঘনভাবে পালন করা হয় দিনটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ উপলক্ষে নানা মজার স্ট্যাটাস, মিম ও আলোচনায় সরব হয়ে ওঠে ব্যবহারকারীরা। অনেকেই এ দিনটিকে মনে করেন ডিজিটাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান যেখানে পরিচিতি তালিকায় থাকা অপ্রয়োজনীয় মানুষদের সরিয়ে ফেলার সুযোগ তৈরি হয়। আসলে অনলাইনে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে ‘আনফ্রেন্ড দিবস’ তাই মনে করিয়ে দেয় নিজের ডিজিটাল পরিসরকে পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে যাদের সঙ্গে আপনার রুচি, সংস্কৃতি বা বিশ্বাসে তফাত রয়েছে; কমেন্টে বাজে মন্তব্য ছড়ায়; কিংবা একেবারেই নিষ্ক্রিয় দিনটি নিয়ে তাদের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে পারেন সোশ্যাল হ্যান্ডেল ব্যবহারকারীরা। তবে হঠাৎ করেই আনফ্রেন্ড করার আগে বন্ধুকে আনফলো করা যেতে পারে প্রথম ধাপে। শেষ ধাপে ছাঁটাই। 

ডিবিটেক/ইহক/ওআর