ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য বডি ক্যাম; কেনা হবে এক কোটি ই-পাসপোর্টের বই
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ‘৪০ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে না। বরং ‘যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে দেওয়া হবে’। এছাড়াও চাহিদা থাকায় ‘এক কোটি ই-পাসপোর্টের বই’ এবং ‘আনসারদের অস্ত্রগুলো অনেক পুরোনো হয়ে যাওয়ায়’ নির্বাচনের আগে ‘আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা’র জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
১৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে নির্বাচন সামনে রেখে বডি ওর্ন ক্যামেরা নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বডি ক্যামেরা নিয়ে অনেক পর্যালোচনা করা হয়েছে। বডি ক্যামেরা প্রথমত ছিল অনেকগুলো করবে, সেজন্য আমরা বলেছি যে আপনারা পর্যালোচনা করে আসেন। মূল্যটা আসবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রকিউরমেন্টটা কীভাবে করবেন, একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া যেন প্রকিউরমেন্টটা হয়।’
তিনি বলেন, ‘বডি ক্যামেরাটা আসবে, হয়ত এখন একটু রেশনাল হিসেবে আসবে। বডি ক্যামেরা শুধু সেনসিটিভ (স্পর্শকাতর) যেসব জায়গা আছে, ওইখানে আমরা সাজেস্ট করেছি। ইনফ্যাক্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাজেস্ট করছে।’
সব জায়গায় বডি ক্যামেরা দিতে পারবেন না জানিয়ে ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এগুলো মনিটরিং করার ব্যাপার আছে। ছবি আসবে অ্যাকশন নিতে হবে তো। অতএব সেনসিটিভ যে জিনিসগুলো ওরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে তারা কিনবে।’
আগে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনার কথা ছিল, এখন কী সেটা কমবে-এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ‘৪০ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা’ কেনা হচ্ছে না। বরং ‘যেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে দেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কেনা হবে। ইসি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলোচনা করে ঠিক করবে।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, চাহিদা থাকায় ‘এক কোটি ই-পাসপোর্টের বই’ কেনার জন্য বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া টিকার সংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে ‘ইপিআই টিকা’ কেনা হবে। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রোজার আগে চাল ও গম আমদানি করা হবে।
ডিবিটেক/এএস/ইক







