ট্রেন্ডের বাইরে টিকে থাকা: স্থাপত্যে স্লেটের দর্শন
একটি নতুন বাংলাদেশি স্থাপত্য শিল্প স্টুডিও, যারা মানুষের প্রয়োজন আর উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছে, প্রতিনিয়ত।
স্লেটের জন্য আর্কিটেকচার মানে শুধুমাত্র প্রদর্শন নয়, বরং জীবনের এক অংশ হওয়া। তাদের মূল বিশ্বাস প্রতিটি নকশার পেছনে একটি কারণ থাকা প্রয়োজন যা তাদের শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। তাদের ট্যাগলাইন "Design with Purpose” কোনো বিজ্ঞাপনী লাইন নয়, বরং তাদের কাজের মূলনীতি। প্রতিটি প্রকল্প শুরুর আগে তারা নিজেদের প্রশ্ন করে এই জায়গাটা কেন থাকা দরকার?"
এই প্রশ্নের উত্তরই গড়ে দেয় তাদের প্রতিটি কাজের দিকনির্দেশনা। হোক সেটা একটি বাড়ি বা অফিস। প্রতিটি জায়গা তারা এমনভাবে তৈরি করে যেন সেখানে মানুষ যেনো তার স্বাভাবিক ছন্দ অনুভব করতে পারে। তারা চিন্তা করে, একটি বাড়ি এমন একটি পরিবেশ যেখানে পরিবারের সদস্যরা বসবাস করে, বেড়ে ওঠে, একসাথে সময় কাটায়। অফিস প্রজেক্টগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা। এটি শুধু কাজের জায়গা নয়, বরং এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে মানুষ তার নিজস্ব সৃজনশীলতার সাথে যুক্ত থাকতে পারে।
স্লেটের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তারা সবসময় মানুষের অনুভূতিকে প্রাধান্য দেয়। তারা প্রায়ই বলে, “একটি বিল্ডিং তখনই সফল, যখন ভিতরে থাকা মানুষেরা ভালো বোধ করে, নিজেদের কানেক্ট করতে পারে।”
যখন অনেকে করতালির বা সাধুবাদের জন্য বিল্ডিং বানায়, স্লেট সেখানে তার প্রতিটি নকশা করে সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকার জন্য। ফলাফল হিসেবে তৈরি হয় এমন সব স্থাপত্য যা নিঃশব্দে মানুষের জীবনকে উন্নত করে। স্থাপত্যগুলো দেখিয়ে দেয়, নিঃশ্বব্দে নিজস্বতা বজায় রাখা সম্ভব।
বাংলাদেশের অন্যতম চিন্তাশীল ডিজাইন স্টুডিও হিসেবে স্লেট প্রমাণ করেছে ভালো ডিজাইন মানে দামি বা জটিল কিছু নয় বরং সৎ ও অর্থবহ কিছু। তাদের প্রতিটি প্রজেক্ট শুধু বিল্ডিং হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য নয় বরং মানুষের জীবনের অংশ হয়ে ওঠার জন্য।
ইমরানের কাছে ডিজাইন মানে প্রতিযোগিতা নয়, বরং মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারা। তাঁর নেতৃত্বে স্লেটের দল নির্ভুলতা ও সংবেদনশীলতাকে একত্র করে এমন স্থাপনা গড়ে তুলছে, যা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকছে।
লেখকঃ সিনিয়র মিডিয়া অ্যাডভাইজার, টপ অব মাইন্ড







