বিমসটেক সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এআই এবং প্রযুক্তি বিনিময়ের আহ্বান

তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো, জ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগাভাগির মাধ্যমে পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং সরকার ব্যতীত অন্যান্য অংশীদারদের যুক্ত করে জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া বিমসটেক সদস্যভুক্ত দেশের সম্মিলিত লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনে বক্তব্যকালে এই মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় উন্মুক্ত আঞ্চলিক সহযোগিতার পক্ষে। আমরা এমন একটি অঞ্চল গঠনের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সব দেশ সমতার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থ ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন, বিমসটেক অঞ্চল বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। অনেকেই এ বিশাল জনসংখ্যাকে ‘সমস্যা’ হিসেবে দেখলেও সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এ জনসংখ্যাই সবচেয়ে বড় সম্পদে পরিণত হতে পারে। নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও সঠিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এ অঞ্চল বিশাল সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে বিমসটেকের আমূল পরিবর্তনে বাংলাদেশ শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নির্গমন- এ তিনটি শূন্যের বিশ্ব গড়তে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা বিআইএমএসটিইসি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্য এবং জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে হবে । ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত বিআইএমএসটিইসি গ্রিড সংযোগ চুক্তি জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিআইএমএসটিইসি অঞ্চলকে আরও কার্যকর করতে হলে ২০০৪ সালে স্বাক্ষরিত বিআইএমএসটিইসি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিমসটেক এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বিআইএমএসটিইসি প্রায় ২৮ বছর ধরে কাজ করছে। কিন্তু এর প্রকৃত প্রভাব এখনও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যথেষ্ট অনুভূত হয়নি। আমরা এই সংগঠনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করবো।’