স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সেমিনার ও ইফতার অনুষ্ঠিত

১৫ মার্চ, ২০২৫  
১৬ মার্চ, ২০২৫  
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সেমিনার ও ইফতার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের নবীন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠার ইকো সিস্টেমে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে শনিবার ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম শক্তিশালীকরণে মিডিয়া পার্টনারশিপের ভূমিকা’ নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনা ছাড়াও নির্বাচিত ৫০টি স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের উপস্থিতিতে ইফতার ও নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে আয়োজক সূত্র।

সভায় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য মিডিয়া তিনটি মূল ক্ষেত্রে হিসেবে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতার গল্পও তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তার। তাদের মতে, উদ্যোক্তাদের সাফল্যগাথা যেমন প্রচারিত হওয়া উচিত, তেমনি ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের জন্য শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি করা যেতে পারে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা মূলত মিডিয়ার মাধ্যমেই নতুন স্টার্টআপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা এবং সচেতনতা ও নীতিনির্ধারণে গণমাধ্যমের অংশগ্রহণের ওপর আলোকপাত করা হয়।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনে ফেরদৌস সুমী, সেন্টার ফর টেকনোলজি জার্নালিজমের (সিটিজে) সভাপতি হাসান জাকির, ফিউচার স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা রুহুল কাদের ও ওয়াই ওয়াই ভেঞ্চারসের প্রোগ্রাম সমন্বয়ক ফারিহা তাবাসসুম হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরির উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। তবে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন  ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার। 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএইচটিপিএ-এর ডিজিটাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট (ডিইআইইডি) প্রকল্প দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, বিনিয়োগ সহায়তা এবং নেটওয়ার্কিং সুবিধা প্রদান করছে। এই প্রকল্পের অধীনে সারা দেশের ১ হাজার ৫০ জন উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ও মেন্টরিং প্রদান করা হচ্ছে।