আইএসপিএবি'র ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
বার্ষিক সাধারণ সভায় আইএসপিএবি’র ১৩ সদস্যের ৬ জন ইসিই অনুপস্থিত!

মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীস্থ রিটায়ার্ড আর্মডফোর্স অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) অনুষ্ঠিত হলো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা। তবে সভায় সাধারণ সদস্যদের সতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ থাকলেও ছিলেন না ভোটে (বিতর্কিত) নির্বাচিত হয়ে কার্য নির্বাহী কমিটিতের স্থান পাওয়া ছয় জন্য সদস্য।
অবশ্য এদের মধ্যে তিনজন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে পতিত সরকারের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় আগেই পদত্যাগ করেছেন। আর কমিটিতে থেকেও সহযোগী ক্যাটাগরির চার জনের মধ্যে তিন জন সদস্য মোঃ নাসির উদ্দীন, মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন এবং মাহমুদুল হাসান আরিফ সভায় যোগ দেননি। ইসি’র সাধারণ ক্যাটাগরির সদ্যদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন পদত্যাগী এস এম জাকির হোসাইন, মোঃ নাছির উদ্দিন এবং মাহামুদুল হাসান আরিফ।
ফলে ঘরের চাপে মেয়াদ পূর্তীর ১০ মাস আগেই নির্বাচনে ট্রেন ছাড়তে বাধ্য হওয়া ২০২৪-২৬ মেয়াদের আইএসপিএবি কার্যনির্বাহী কমিটিরপ্রেসিডেন্ট মোঃ ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিতে ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়েছে।
সভায় ২০২৪ সালের বার্ষিক কার্যক্রম বিবরণী পেশ করে সেক্রেটারি জেনারেল নাজমুল করিম ভূঁঞা। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করার পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য আর্থিক বাজেট কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মোঃ আসাদুজ্জামান সুজন। মঞ্চে উপস্থিত অপর ইসি সদস্যরা হলেন-সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আজিম, যুগ্ম মহাসচিব-০২ মোহাম্মাদ এ কাইয়্যুম রাশেদ; মেম্বার অ্যাফেয়ার্স পরিচালক সাকিফ আহমেদ এবং সহযোগী ক্যাটাগরির পরিচালক ফুয়াদ মুহাম্মদ সরফুদ্দিন।
সভায় সাধারণ সদস্যদের দেখা গেছে খুবেই নিরুত্তাপ ও উদ্বিগ্ন। স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের আগমন এবং দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে ইসি’র সক্রিয় ভূমিকা না থাকায় মোবাইল অপারেটর ও ননলাইসেন্সিংয়ের কাছে ব্যবসায় হারানোর মতো বিভিন্ন ইস্যুতে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইএসপি ব্যবসায়ীরা। এদের মধ্যে সহযোগী ক্যাটাগরির সদস্যরা ছিলেন বেশ সরব।বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও বাজেটে সদস্যের কোনো সুরক্ষার বাজেট না থাকা নিয়ে ইসি’র প্রতি ভর্ৎসনা প্রকাশ করেন কেউ কেউ। সভায় ডট ইন্টারনেটের কর্ণধার মুহাম্মদ মিঠু হাওলাদার এর মতো দুই-তিন হন ব্যবাসায়ী প্রান্তিক ব্যবসায়ীদৈর সুরক্ষায় সোচ্চার ছিলেন। ইসিকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেছেন, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আপনাদের নির্বাচিত করতে পারিনি, তাই আপনারা আমাদের কথা চিন্তা করেননি। তবে আগামীতে বাজেট সংশোধন করে সদস্যদের সুরক্ষা তহবিল গঠন করতে হবে। সংগঠনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মনোভাব সদস্য বান্ধব নয়। তাদের সেই মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে।
আলোচনায় আইএসপিএবি’র সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক আইএসটি ব্যবসায়ের ভবিষ্যত টেকসই করতে সবাইকে কমপ্লায়েন্সের ওপর গুরুত্ব দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘৫০০ টাকার প্যাকেজে আমরা যে ভ্যাট দিই, তা গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হয় না। এই টাকা আমাদের পকেট থেকে যায়। এক সঙ্গে আমরা ওই ভ্যাট দিলে সরকারকে বলতে পারবো আমরা এতো টাকার ভ্যাট দিয়েছি। সেটি গর্বের হতো। বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
উপস্থিত সদস্যদের বিস্তারিত আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের কার্যক্রম, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন এবং ২০২৫ সালের নিরীক্ষক নিয়োগ ও আগামী বছরের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের বাজেট অনুমোদিত হয়।