ইউনাইটেড আইসিটি ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামী সপ্তাহে

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  
ইউনাইটেড আইসিটি ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামী সপ্তাহে

দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ৫টি বাণিজ্যিক এবং ৪টি পেশাদার সংগঠন মিলিয়ে রয়েছে ৯টি সংগঠন। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)। এর মধ্যে বাক্কো ও আইএসপিএবি ছাড়া প্রতিটি সংগঠনই পরিচালিত হচ্ছে প্রশাসকের মাধ্যমে।

এমন পরিস্থিতিতে এসব সংগঠনের বিভিন্ন সময়ের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে ‘ইউনাইটেড আইসিটি ফোরাম’ এর ব্যানারে বাংলাদেশের সিলিকনভ্যালি হিসেবে পরিচিত রাজধানীর বনানীস্থ বনানী ক্লাবের ব্যানকুয়েট হলে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাতে মিলিত হয়েছিলেন এই খাতের দুই শতাধিক ব্যবসায়ী। এই ফোরামের মাধ্যমেই সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মাধ্যমে সকলের জন্য সমান ও বৈষম্যহীনভাবে কাজ প্রাপ্তির জন্যেই একসাথে মিলিত হন তারা। একইসঙ্গে সংগঠনগুলোর বিদ্যমান বিভিন্ন সাংগঠনিক ও পলিসিগত সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হবে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করা ফোরামটি।

সেই অনুষ্ঠানে বাক্কো সভাপতি তানভির ইব্রাহিম, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সিইও আহমেদ আরমান সিদ্দিকী, ডিজিডট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরচিালক সৈয়দা নাফিসা রেজা (বর্ষা). এএমজেড বিজনেস সলিউশনস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উজ জামান, প্রাইডসিস আইটির ব্যবস্থাপনা পরচিালক মনোয়ার ইকবাল, মজুমদার আইটির স্বত্বাধিকারী সাইদুল ইসলাম মজুমদার, গনেচার ক্লাব লিমিটিডের ফাউন্ডার ও পরিচালক মোঃ শোয়েবুর রহমান খান, এপসিস্ সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরচিালক মাহতাবুল আমিন প্রমুখ।

এই ফোরামের সমন্বয়কের ভূমিকায় রয়েছেন বাক্কো মহাসচিব ও উইনটেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আলিম। এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি জানিয়েছেন, গত ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রধান সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, নীতিনির্ধারণে নিষ্ক্রিয়তা ও সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগের অভাবে খাতটি কাঙ্খিত গতিতে এগোতে পারছে না। এই বাস্তবতায় ইউনাইটেড আইসিটি ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এখনো ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। এরপরই প্রথমে একটি সিমেনার ও সামিট এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মিটিং করবেন তারা।

জানাগেছে, এই ফোরামের মাধ্যমে দেশের আইসিটি খাতের সংগঠনগুলোর কাঠামোগত সংস্কারে কাজ করবেন সদস্যরা। একইসঙ্গে ফোরামের বিভিন্ন মিটিং থেকে উঠে আসা সুপারিশের ভিত্তিতে ‘ইউনাইটেড আইসিটি ফোরাম’ এর কর্মপরিধি ও অন্যান্য বিষয়গুলো নির্ধারন করা হবে।