জাতীয় ফিজিওথেরাপি অলিম্পিয়াড ২০২৫ বিজয়ী যারা
ফিজিওথেরাপি নিয়ে অধ্যয়রনত শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বাপসু) আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় ফিজিওথেরাপি অলিম্পিয়াড ২০২৫’-এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী আনিকা ইয়াসমিন। ফার্স্ট রানার্স-আপ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপের শিক্ষার্থী তানজিনা জানা অনু এবং সেকেন্ড রানার্স-আপ রাদিয়া ইসলাম মেধা।
প্রতিযোগিতায় তিনজনই সমান নম্বর পেলেও অলিম্পয়াডে সময়ে এগিয়ে থাকার ভিত্তিতে ফল ঘোষণা করা হয়। ১৫ সেকেন্ড আগে উত্তর করে চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে ১০ হাজার, আর এক সেকেন্ডের ব্যাবধানে প্রথম রানার্সআপ ৫ হাজার এবং দ্বিতীয় রান্সআপকে দেয়া হয় ৩ হাজার টাকার একটি ডামি চেক।
এছাড়াও প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে ৪র্থ স্থানকারী আঞ্জুমান আকিয়াত ৫ম মরিয়ম তাসনিম, ৬ষ্ঠ রেদ্বওয়ান হোসাইন রাফি, ৭ম হাসানুর রাকিব, ৮ম লামিয়া সুলতানা, ৯ম আব্দুল্লাহ আল রায়হান, ১০ম মেহেরীন আক্তার লিপিসহ সব প্রতিযোগিকেই দেয়া হয় ক্রেস্ট ও সনদ।
রাজধানীর ড্যাফোডিল হেলথ ইনস্টিটিউটে ২৮ নভেম্বর, শুক্রবার বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (BPSU) আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন কলেজ ও প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (বাপসু) সভাপতি আশিকুর রহমান। এ সময় দেশের স্বনামধন্য ফিজিওথেরাপিস্ট ও পেশাজীবীরা শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
উপস্থিত ছিলেন স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেসের ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ন্যাশনাল ফিজিওথেরাপি ফোরামের সভাপতি এস. এম. কামাল হোসেন, মেফেয়ার ওয়েলনেস ক্লিনিক লিমিটেডের ইন-চার্জ ও কনসালটেন্ট মো. মুরাদ হোসেন মেহেদী, বিপিএর সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, বাপসুর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন তৌহিদ, ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহের রাহাত।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এই অলিম্পিয়াড দেশের ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, দক্ষতা ও পেশাগত আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতের পেশাজীবী তৈরিতে এ ধরনের আয়োজন বড় অবদান রাখে।’
অলিম্পিয়াডটি তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম রাউন্ডে সেরা ৪০ জনের মধ্য থেকে ২০ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় রাউন্ড ‘লেস অপশন মোর পয়েন্টস’-এ ১০ জন প্রতিযোগী বাছাই হন। শেষ ধাপ র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ নির্ধারিত হয়।
আগামী বছর আরও বৃহৎ পরিসরে জাতীয় পর্যায়ের এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বাপসু)।
অলিম্পিয়াডের ভেন্যু স্পন্সর ও এক্সপার্ট প্যানেল ছিল ড্যাফোডিল হেলথ ইনস্টিটিউট। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার। বিশেষ সহযোগিতায় ছিল হলি কেয়ার। আবাসন সহযোগিতায় ছিল নিরিবিলি গার্লস’ হোস্টেল ও বিসমিল্লাহ বয়েজ’ হোস্টেল।
ডিবিটেক/এফএস/ইকে







