টেকসই উন্নয়নে টেক-সই প্রকৌশল গবেষণা ও উদ্ভাবনে যুবসম্পৃক্ততার তাগিদ
ব্র্যাক বিশ্বিবিদ্যালয়ে আইসিসিইএস উদ্বোধন
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তি হস্তান্তরে অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে সবুজ প্রযুক্তি ও প্রকৌশলকে ব্যবহারে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান তাদের। টেকসই উন্নয়নে টেক-সই প্রকৌশল গবেষণা ও উদ্ভাবনে যুবসম্পৃক্ততার বিকল্পনেই বলে মনে করেন তারা।
রাজধানীর বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২৬ অক্টোবর, রবিবার সন্ধ্যায় জলবায়ু বিষয়ক উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি (আইসিসিইএস) উদ্বোধন ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এই আহ্বান জানান তারা।
আইসিসিইএসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যুব সম্পৃক্ততা’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ গবেষক ড. হাসিব মোঃ ইরফানুল্লাহ, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর সিনিয়র গবেষক ড. আনোয়ার জাহিদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইউএন উইং চিফ একেএম সোহেল, জেনল্যাবের নির্বাহী পরিচালক রাতুল দেব প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুবশক্তির নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করা, যাতে জলবায়ু গুলোকে টেকসই উন্নয়নের সুযোগে রূপান্তর করা যায়। জলবায়ু সমন্বয়ের জন্য বিশেষ বাজার খুঁজে বের করতে হবে, পাশাপাশি গবেষণা ও পরামর্শের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা জরুরি। অভিযোজন, প্রশমন, জলবায়ু অর্থায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্বচ্ছতা ও আনুগত্য—এই মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং অনাবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক অর্থায়নের সুযোগ পাওয়া যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আইনুন নিশাত বলেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অতিব্যবহার সীমিত করতে হবে। টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুবশক্তির নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই উন্নয়নের সুযোগে রূপান্তর করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শিক্ষার্থী, গবেষক ও জলবায়ু নেতারা অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তরুণদের জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অনুপ্রাণিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততায় উদ্বোধন করা হয় আই.সি.সি.ই.এস। এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু গবেষণা, নীতি-সংলাপ ও যুবনেতৃত্বাধীন উদ্ভাবন অগ্রসরে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।







