বডি ক্যামেরার জন্য থোক বরাদ্দ ৪০০ কোটি টাকা; চলতি সপ্তাহের মধ্যে ই-গেট চালু

আগামী সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের জন্য বডি ক্যামেরা কিনতে প্রতিটি ক্যামেরার দাম এখনো নির্ধারিত না হলেও এজন্য ৪০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেই সঙ্গে তিনি এ সংক্রান্ত পত্রিকার প্রতিবেদনে দামের বিষয়টি কীভাবে জানা গেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার বিষয়টি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে উঠলেও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে এখনো ওঠেনি বলেও জানান তিনি।
২০ অক্টোবর, সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বডি ক্যামেরা কেনার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বডি ক্যামেরা এমন না যে বাজারে গেলাম, কিনে নিয়ে আসলাম। এজন্য যে পদ্ধতি আছে সে অনুযায়ী কেনা হবে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অতিরিক্ত দামে প্রতিটি এক লাখ টাকা দামের বডি ক্যামেরা কেনা হচ্ছে খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত দাম জানি না। আপনারা জানেন কীভাবে? তবে ৪০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এরপর নেগোসিয়েশন হবে, তখন দাম নির্ধারণ হবে। এটা নিয়ে দামাদামি হবে, তারপর একটা মূল্যে আনা হবে।’
বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুত ই-গেট চালু করা হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে যাতে ই-গেট চালু করা যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে তারা পাসপোর্ট দেখিয়ে ই-গেইট দিয়ে ঢুকতে পারবে। তিনি বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সকল বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটা বৈঠক হয়েছে। সেখানে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কি কারণে দুর্ঘটনা হলো সেটা তারা তদন্ত করে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
নির্বাচন নিয়ে সংশয় বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই, তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা আগে কখনো ছিলো না। তাছাড়া গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাদেরকে এ নির্বাচনে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ এনডিসি, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম, বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এনডিসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।