টাঙ্গাইলে কনসার্টে মোবাইল খোয়ার ৬০ জিডি

টাঙ্গাইলে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে আয়োজিত ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে জেমসের কনসার্টে শতাধিক মোবাইল খোয়া যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে মোবাইল চুরির ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ জন মোবাইল খুইয়ে থানায় জিডি করেছেন। গণমাধ্যমের কাছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সত্বেও মোবাইল চুরি নিয়ে ৬০টি অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে কনসার্ট চলাকেল মোবাইল খোয়ানোর পাশাপাশি কয়েকজন নারীকে শ্লীলতাহানি এবং আয়োজক কমিটির বাধার কারণে অনেক গণমাধ্যম কর্মী স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। এই চ্যাম্পিয়নশিপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এর ট্রফি উন্মোচন হয়। উদ্বোধন করেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ বিএনপির ও আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেমসের কনসার্টে উপলক্ষে বিকেল থেকেই ঢল নামে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে। পরে রাত ৯টার দিকে জেমস মঞ্চে ওঠেন। বিভিন্ন গান পরিবেশন করে তিনি দর্শকদের মাতোয়ারা করেন। এসময় স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে কনসার্টের এক পর্যায়ে কয়েকশ মোবাইল চুরি হয়৷ স্থানীয় সাংবাদিক নাঈম খান জানিয়েছেন, পেশাগত কাজের কনসার্টে গিয়ে তিনি যেমন মোবাইল ফোন খুয়েছেন তেমনি তার ভাগনের ফোনও সেখান থেকে চুরি হয়েছে।
অপরদিকে কয়েকজন নারীকে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করছেন। এ নিয়ে জেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। ফেসবুকে আমাদের টাঙ্গাইল গ্রুপে প্রিন্স কাব্য লিখেছেন, সন্ধ্যার দিকে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেমস এর কনসার্টে যাচ্ছিলাম। স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকার সময় প্রবেশ মুখে হটাৎ করে কয়েকজন ইচ্ছে করেই ধাক্কাধাক্কি আর ঠেলাঠেলি শুরু করে।ভিড়ের মধ্যেই একজন আমার পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যাই।
এত লোকের ভিড়ে তাকে শনাক্ত করতে না পেরে। আমি পরবর্তীতে থানায় গিয়ে জিডি করি। কিন্তু চমক হলো থানায় গিয়ে দেখি কান্নার রোল,প্রায় ৫০ জনের ও বেশি মানুষ আসছে জিডি করতে তাদের ভাষ্যমতে তাদের প্রত্যেকেরই মোবাইল নেওয়া হয়েছে ভিড়ের মধ্যে।