২০ লাখ ডলার সৌদি বিনিয়োগ পেলো মার্কোপোলোডটএআই

সৌদি আরবের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান জোয়া ক্যাপিটাল থেকে দেশটিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২২ কোটি টাকা) মূলধন সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশের এআইভিত্তিক স্টার্টআপ মার্কোপোলোডটএআই। সিড ফান্ডিং রাউন্ডে জোয়ার ক্যাপিটেলের সঙ্গে টিম ইগনাইট পার্টনারস ছাড়াও কয়েকজন বিনিয়োগকারী রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দেশটিতে এআই ব্যবহারে নতুন গন্তব্যে নিয়ে যাবে এই বিনিয়োগ।
এরইমধ্যে সৌদিআরবের ন্যাশনাল টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সহায়তায় সেখানে একটি দপ্তর স্থাপন করেছে মার্কোপোলো এআই। এছাড়া, কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র তাকাদাম কোহর্ট-৮ (২০২৫) প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার অনুদান পেয়েছে। লিপ ২০২৪’র এআই ওসিস হ্যাকাথনে বিজয়ী হওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এর আগে একসেলারেটিং এশিয়া, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও ডিআইভিসি থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে।
২০২৩ সালে ফোর্বস এশিয়ার ৩০ বছরের নিচে ৩০ তরুণের তালিকায় স্থান করে নেয়া মার্কোপোলোডটএআই সহপ্রতিষ্ঠাতা তাসফিয়া তাসবিন ও রুবাইয়াত মোস্তফা’র হাত ধরে বাংলাদেশে গণ্ডি পেরিয়ে এআই টাইগার স্টার্টআপটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও জাপানেও নিবন্ধিত হয়েছে। বর্তমানে ৬০ জন কর্মী নিয়ে ৪০টির বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত।
মার্কোপোলোডটএআই সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তাসফিয়া তাসবিন বলেছেন, আমরা কেবল সফটওয়্যার তৈরি করছি না, বরং এমন এআই কর্মী গড়ে তুলছি, যারা আপনার সেরা বিপণন বিশেষজ্ঞের মতো চিন্তা ও কাজ করতে সক্ষম।
জোয়া ক্যাপিটাল’র প্রধান নির্বাহী ইউসুফ আলইউসেফি বলেন, মার্কোপোলোডটএআই এআই-চালিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপণন ও বিক্রয়ের ভবিষ্যৎ গঠন করছে। তাদের দ্রুত অগ্রগতি তাদের দক্ষতার প্রমাণ। সৌদি আরবের উদ্ভাবনী পরিবেশে তাদের বৈশ্বিক সম্প্রসারণে সহায়তা করতে পেরে আমরা উৎসাহিত।
প্রসঙ্গত, দফায় দফায় প্রাপ্ত বিনিয়োগ দিয়ে গ্রাহকের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-চালিত গো-টু-মার্কেট (জিটিএম) অটোমেশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কোপোলোডটএআই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৈনিন্দিন বিক্রয় ও বিপননের কাজে সক্ষম এআই এজেন্ট তৈরি করছে বাংলাদেশী এই স্টার্টআপটি। এরইমধ্যে মার্ক; নাবিক ও ডিপডাইভ নামে তিনটি এআই এজেন্ট তৈরি করেছে। এর মধ্যে মেটা, গুগল, টিকটক ও ইয়াহু জাপানের মিডিয়া ক্রয় ও প্রচারণা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মার্ক এআই এজেন্ট। নাবিক ব্যবহৃত হয় বিক্রয় এজেন্ট বাড়িয়ে ব্যক্তিগত ক্রস-চ্যানেলে লাখো গ্রাহকের সঙ্গে কথোপকথন ও প্রচারণার জন্য। আর ডিপডাইভ হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমের ডেটা বিশ্লেষণ করে রিয়েল-টাইমে গ্রাহকের কাছে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।