৭ হাজারের বেশি সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পদায়ন

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পদায়ন প্রক্রিয়া চালু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবারই প্রথম ৭ হাজারের বেশি সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে টেকনিশিয়ানসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমনটাই জানান তিনি। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জনান, নতুন পদগুলো সৃজনের পাশাপাশি ডিজিটাল পদায়ন ও নজরদারি চালু করা হয়েছে, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। এখন কে, কোথায় নিয়োগ পেল, কোথায় কাজ করছেন- সবকিছুই অনলাইনে রেকর্ড থাকবে। এতে করে পোস্টিংয়ে অনিয়ম কমবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনবল। শুধু একটি বা দুটি শ্রেণি নয়, আমাদের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান- সব পর্যায়েই ঘাটতি রয়েছে। জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সেবা কার্যক্রমে এই সংকট সরাসরি প্রভাব ফেলছে। তাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে পদায়ন প্রক্রিয়া চালু করেছি। এর আওতায় এবারই প্রথম ৭ হাজারের বেশি সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ ও পদায়নের সুযোগ পাচ্ছি। এই অতিরিক্ত পদগুলোতে শুধু চিকিৎসকই নয়, শিক্ষক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও যুক্ত থাকবেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশরাফি আহমেদ (এনডিসি), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডা. আহমেদ জামশেদ মোহাম্মদসহ আরও অনেকে।