কুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ২৩ জন শিক্ষার্থী

১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১০:১৫  
কুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ২৩ জন শিক্ষার্থী

দীর্ঘ চার বছর পর শনিবার (১১ জানুয়ারি) গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) অনুষ্ঠিত হলো প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বি.আর্ক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসেছেন শতকরা উপস্থিতির হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ আবেদনকারী শিক্ষার্থী। ৩টি অনুষদের অধীন ১৬টি বিভাগের প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ২৩ জন শিক্ষার্থী।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৫ টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়ে ২৪ হাজার ৫২৭টি। এর মধ্যে মধ্যে ২২ হাজার ৬৬১ জন অংশগ্রহণ করেছে পরীক্ষায়।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কুয়েটসহ মোট ১১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন সাত হাজার ১৪৪ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে চার হাজার ৯৪০ জন, খুলনা রেভারেন্ড পলস হাইস্কুল কেন্দ্রে ৮৮৬ জন, হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ৮৭৩ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দুই হাজার ৫০০ জন ও খালিশপুর সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ কেন্দ্রে দুই হাজার ৫০০ জন।

এছাড়াও খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দুই হাজার জন, খুলনা সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এক হাজার ৩০০ জন, খুলনা সরকারি পাইওনিয়ারিং মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৯০০ জন, খুলনা সরকারি এম এম সিটি কলেজ কেন্দ্রে ৮৫২ জন, সুন্দরবন সরকারি আদর্শ কলেজ কেন্দ্রে ৬৩২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।

খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’ ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, সবার আগে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি তার একটাই কারণ, আমরা যেন সবার আগে ক্লাস শুরু করতে পারি। সেশনজট টা আগানোর জন্য। কোভিড’র কারণে আমাদের সেশনজট এক বছর পিছিয়ে গেছে। গতবছর কিছু আন্ডার সিচুয়েশনের কারণে আরেকটু পিছিয়েছে। আমরা চাচ্ছি আমাদের ছাত্রদের সেশনটা যেন রেগুলারাইজড হয়। এই রেগুলারাইজেশনের জন্য ছাত্ররা যেন আমাদের সহযোগিতা করে। যারা ভর্তি হবে তারা যেন সময় মতো ক্লাসে চলে আসে।

তিনি বলেন, মাঝখানে চার বছর যৌথভাবে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি, বাকি দুইটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। এবছর আলাদা হয়ে আমাদের মতো পরীক্ষা নিচ্ছি। এ বছর আমাদের কুয়েটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। আমার বিশ্বাস ছাত্ররা খুব সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে। আর যেহেতু পুরো খুলনা শহরে আমাদের কেন্দ্রগুলো ছড়ানো ছিটানো। যার কারনে এক জায়গায় কনটারসেশনটা আসে নাই। ছাত্ররা বুঝতে পেরেছে তাদের এ পর্যন্ত থাকাটা নিয়ে খুব একটা সমস্যা হয়েছে তা নয়। কিছুটা সমস্যা হয়েছে এটা স্বাভাবিক। শহরে এত লোকের চাপ পড়েছে। শিক্ষকদের কাজ থেকে আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছি। কোশ্চেন করা থেকে শুরু করে কোশ্চেন প্রিন্টিং এ পর্যন্ত। অনেক টিচার আছেন যারা রাত জেগে ছিলেন যাতে সকালে প্রশ্নগুলো ঠিকমতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে। এ সময় উপাচার্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামসহ ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।