দেশে পেপ্যাল-ওয়াইজ সুবিধা চান ফ্রিল্যান্সাররা

২৯ এপ্রিল, ২০২৫  
২৯ এপ্রিল, ২০২৫  
দেশে পেপ্যাল-ওয়াইজ সুবিধা চান ফ্রিল্যান্সাররা

দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন। তাই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো জনপ্রিয় পেমেন্ট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ও আইটি প্রফেশনাল কমিউনিটির’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জাানানো হয়। দাবির সমর্থনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর পেশকৃত স্মারকলিপি সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবী এমরাজিনা ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এইচ এম ওসমান শাকিল, গোলাম কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, সুমন সাহা, মিনহাজুল আসিফ, রাসেল খন্দকার, সাজিদ ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা জানান, স্মারকলিপিটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দফতরে  জমা দেবেন। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও আইটি খাতের অগ্রগতির জন্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমের সহজলভ্যতা এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তা রয়েছেন। যারা প্রতি বছর একটি বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্সে যুক্ত করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু এখনও বাংলাদেশে পেপাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো জনপ্রিয় পেমেন্ট সেবাগুলো চালু হয়নি, যার ফলে দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী রিমোট কাজের সুযোগ বাড়লেও বাংলাদেশে পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এদেশের ফ্রিল্যান্সাররা পিছিয়ে পড়ছেন। এ সময় তারা বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে পেপাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। 

প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশে অনলাইনে পারিশ্রমিক গ্রহণের জন্য সেরা মাধ্যম পেপ্যাল। অধিকাংশ দেশে পেপ্যাল চালু থাকায় বাংলাদেশ থেকে যখন আমরা বিদেশি কোনো গ্রাহক বা ক্লায়েন্টকে পেমেন্ট করতে বলি, তাঁদের প্রথম পছন্দ পেপ্যাল। পেপ্যাল ছাড়াও অন্যান্য মাধ্যম থাকলেও ক্লায়েন্টদের প্রথম পছন্দ পেপ্যাল হওয়ায় তাঁরা অন্য মাধ্যমে লেনদেন করতে অনেক ক্ষেত্রেই অস্বীকার করেন।