মেডিসিন সোসাইটির নতুন নেতৃত্বের অভিষেক ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

Feb 16, 2025 - 19:12
Feb 16, 2025 - 23:15
মেডিসিন সোসাইটির নতুন নেতৃত্বের অভিষেক ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
মেডিসিন সোসাইটির নতুন নেতৃত্বের অভিষেক ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন

নতুন পথচলায় ২৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অভিষেক ও বৈজ্ঞানিক সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন (বিএসএম)। এ উপলক্ষে রবিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বল রুম সারাদিন মুখরিত ছিল মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের পদচারণায়। বিএসএমের সারাদেশের সব শাখার সদস্যরা এতে অংশ নেন।

নতুন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ও সদস্যসচিব ডা. জাকারিয়া আল আজিজ।  এছাড়াও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন- যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহ মো. হাবিবুর রহমান, ডা. আনিসুর রহমান হাওলাদার, ডা. আহমদ মনজুরুল আজিজ ও ডা. আবুল কালাম মো. সাজেদুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন ডা. মোহাম্মদ আলী।

 অপরদিকে সদস্য হয়েছেন- অধ্যাপক ডা. ফারুক আহম্মদ, অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদ, অধ্যাপক ডা. সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম, অধ্যাপক ডা. মো. বেলালুল ইসলাম, ডা. মো. মনজুরুল হক, ডা. মো. জহিরুল হক, ডা. তুষার কান্তি বর্মন, ডা. মো. শাহাবুল হুদা চৌধুরী, ডা. মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. খান মোহাম্মদ আরিফ, ডা. মো. আব্দুল্লাহেল কাফি, ডা. আবু মোহাম্মদ, ডা. আশিকুর রহমান খান, ডা. মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ, ডা. হাসান হাফিজুর রহমান, ডা. সৈয়দ আতিকুল্লাহ, ডা. মো. হাবিবুল্লাহ, ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং ডা. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

আহ্বায়ক কমিটির বাইরেও ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি করা হয়েছে। সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদুল কবির ওই কমিটি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন।

বৈজ্ঞানিক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিক। পরে সংগঠন নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে বলেন, এই সোসাইটি আগে ব্যবহৃত হয়েছে গোষ্ঠীর স্বার্থে। নেতৃত্বে যারা ছিল তারা একটি দলের পারপাস সার্ভ করে নিজেদের সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে নিয়ে গেছেন। অথচ এই সোসাইটি করার উদ্দেশ্য ছিল একাডেমিক কার্যক্রম, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সারাদেশে মেডিসিনের ভালো শিক্ষক তৈরি- এগুলো হয়নি। আমরা এখন চাই, এই সংগঠন সারা বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার উন্নয়ন করবে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেবা দেওয়ার মতো যুগোপযোগী চিকিৎসক তৈরি করবে। সব জায়গায় যোগ্যতার প্রাধান্য পাবে, দলীয় বিবেচনায় নয়।

নতুন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, অন্যসব সেক্টরের মতো এই স্বাস্থ্য সেক্টরকে গত ১৫ বছরে পঙ্গু করে দিয়েছে, যাতে পাশের দেশের ওপর আমরা নির্ভরশীল হই। আমরা এ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। পদায়ন ও প্রমোশনে আমরা কাউকে দলীয় পরিচয়ে দেখতে চাই না। যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার মূল্যায়ন দেখতে চাই।

যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. শাহ হাবিবুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত ছিল, শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে গণহত্যায় সাপোর্ট দিয়েছে- আমরা তাদের প্রশ্রয় দেবো না। তবে বাকি সবাইকে নিয়ে আমাদের একটা বৈষম্যমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সদস্যসচিব ডা. জাকারিয়া আল আজিজ বলেন, আমরা যেন গুলির পক্ষে না দাঁড়াই। যারা গুলির পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তাদের বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর।