ওয়ালটনে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫০  
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:৫৩  
ওয়ালটনে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট

গাজীপুরের চন্দ্রায় হেড কোয়ার্টারের জলাশয়ে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করেছে বাংলাদেশের বৈশ্বিক ইলেক্ট্রনিক্স ও টেক ব্র্যান্ড ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। এটি বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে স্থাপিত ২.৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্রজেক্টে জলাশয়ের পানির ওপর দশমিক ৮ (০.৮) মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার প্যানেল ভাসমান অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছিল। 

শূন্য কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতিষ্ঠানটি নবায়নযোগ্য বিভিন্ন ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ওয়াল্ট এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলো বলে জানিয়েছে ওয়ালটন। 

নতুন উদ্যোগ নিয়ে ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেছেন, ফ্লোটিং সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প খাতে নবায়নযোগ্য টেকসই শক্তি ব্যবহারে ওয়ালটন আরেকটি নতুন মাইলফলক ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যত টেকসই শিল্পোন্নয়ন যে পরিবেশবান্ধব হতে পারে এবং প্রকৃতি ও প্রযুক্তির মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করাই যে শিল্পের প্রকৃত উন্নয়ন, তার প্রমাণ ওয়ালটনের নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের এই উদ্যোগ। 

তিনি জানান, জলাশয়ের ওপর ভাসমান ওয়ালটনের এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনই করছে না; বরং মাছ চাষ, ভূমি সংরক্ষণ, পানির বাষ্পীভবন হ্রাস ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ বা আংশিক উৎপাদনে থাকলে এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেট মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে। জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে ওয়ালটনের এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। ইতোমধ্যে ওয়ালটন আরো দুটি জলাশয়ে একই ধরনের ফ্লোটিং সোলার প্ল্যান্ট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে আরো বিস্তৃত করবে।

তিনি আরো জানান, এই প্রকল্পে ব্যবহৃত ফ্লোটিং স্ট্রাকচারগুলো তৈরি করা হয়েছে ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে, যা পানি বা জলজ প্রাণীর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। প্যানেলগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে মাছের স্বাভাবিক জীবনচক্রে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। এই ফ্লোটিং সিস্টেম আগামী ২০ বছর পর্যন্ত কার্যকর ও টেকসইভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। 


২৬ অক্টোবর, রবিবার, গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে বিভিন্ন স্থাপনার ছাদে, ফুটপাত এবং অন্যান্য খালি জায়গায় ১০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। শিল্প প্রক্রিয়ায় পানি সাশ্রয় ও পুনঃব্যবহারে ইটিপির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাতকৃত পানির প্রায় ৭৫ শতাংশ নিরাপদভাবে পুনঃব্যবহার করা হচ্ছে। ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার ও আপসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্য কমিয়ে সম্পদের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করছে ওয়ালটন। এসব কার্যক্রমের ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৯ লাখ ১১ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট ১০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে।