যেভাবে পাওয়া যাবে স্টারলিংকের সংযোগ
দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে আজ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। আজ সকালে এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের গ্রাহকরা মঙ্গলবার থেকেই অর্ডার করতে পারবেন।
কীভাবে অর্ডার করতে হবে?
স্টারলিংক সংযোগ পেতে হলে, গ্রাহকদের প্রথমে স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আগ্রহী গ্রাহক হিসেবে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর সংযোগ পাওয়া যায় কি-না, তা পরীক্ষা করতে ঠিকানা দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। এরপর একটি প্যাকেজ বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড কিটে থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল। কিট হাতে পাওয়ার পর স্টারলিংক অ্যাপের মাধ্যমে সংযোগ সক্রিয় করতে হবে। স্টারলিংক সংযোগ নিয়ে ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা সন্তোষজনক মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবার জন্য গ্রাহককে টেলিভিশনের ডিশ অ্যান্টেনার মতো একটি যন্ত্র বসাতে হবে। এটি সেই স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। যন্ত্রটি ক্রয়ের সময় এর সঙ্গে পুরো একটি টুলকিট দেয়া হয়।
এতে স্টারলিংক অ্যান্টেনা ছাড়াও থাকে স্ট্যান্ড, স্টারলিংক কেবল, জেন থ্রি রাউটার, এসি কেবল এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টার। অ্যান্টেনা যে কোনো জায়গায় মাউন্টের জন্য উপযোগী। এমনকি ট্রেনের মতো দ্রুতগামী কোনো বস্তুর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। তবে শর্ত হচ্ছে- আকাশ ও অ্যান্টেনার মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকা যাবে না।
এই অ্যান্টেনার সঙ্গে স্টারলিংকের রাউটারটি যুক্ত করে গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে দুর্গম পাহাড় বা জঙ্গলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্ভব হবে। এই রাউটারে একসঙ্গে ২৫৪টি ডিভাইস যুক্ত হতে পারে। অবশ্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ৫০টির কম ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে।