‘এমএনপি সেবা সহজলভ্য হলে রাজস্ব ও গ্রাহক সেবা বাড়বে’

সিমের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার করে এমএনপি সেবা সহজলভ্য হলে রাজস্ব আয় বাড়ার পাশাপাশি গ্রাহক সেবা বাড়বে বলে মনে করে এমএনপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন। মোবাইল অপারেটরদের সমান লাইসেন্স ফি দিয়ে সেবার অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটির দাবি লাইসেন্স শর্ত অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে এই সেবা প্রণোদনার পথের বাধা তুলে নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এছাড়াও ওটিপি'র সুরক্ষায় মাস্কিং বাধ্যতামূলক করতে এমএনপি'র বাধ্যকতা উঠিয়ে নেয়া দরকার। এটা করা হলে অননেটের পাশাপাশি অফনেটও মাস্কিং করা সহজ হবে। গাইড লাইনে এটুপি নীতিমালা সুস্পষ্ট করে আইআইজির মাধ্যমে করা হলে আন্তর্জাতিক এসএমএস থেকে বাড়বে রাজস্ব।
মঙ্গলবার রাজধানীর রাওয়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত মোবাইল নম্বর পোর্টিবিলিটি এমএনপি সেবায় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য উঠে আসে।
টেলিকম অ্যন্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরিএনবি) আয়োজিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। সমীর কুমার দে’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইনফোজিলিয়ন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসাইন বলেন, ৫০ শতাংশ এফডিআই নিয়ে আমরা এই প্রকল্পটি করেছিলাম। এ কারণে এখন গ্রাহকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। কিন্তু নানা ভাবে এই স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। কিন্তু এমএনপি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হল৷ পরোক্ষ ভাবে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। গ্রাহকও সর্বত্তম সেবা পাবে। এর মাধ্যমে দেশে আরো বিদেশী বিনিয়োগ আসবে।
অনুষ্ঠানে ইনফোজিলিয়ন সিইও মোস্তফা কামাল বলেন, মোবাইল অপারটররা ডিরেক্ট ক্লায়েন্ট হিসবে সবাইকে মেসজ পাঠানোতে দেশীয় এটুপি উদ্যোক্তারা মোবাইর অপারেটরদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। বাজার প্রতিযোগিতায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এটুপি এসএমএস এর ক্ষেত্রে এগ্রিগেটর এবং ডাইরেক্ট প্লানের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। মোবাইল অপারেটর এবং এগ্রিগেটরের মধ্যে বাল্ক এসএমএস এর মূল্য চার্ট দেখলে তা সহজেই অনুমেয়। প্রাথমিকভাবে এমএনপিতে মোবাইল অপারেটররা ভালো সাড়া পেয়েছিলেন কিন্তু ট্যারিফ প্লানের কোরণে পরবর্তীতে কমেছে। অথচ রেগুলেটর ফ্রেন্ডলি হওয়ায় ভারতে এমেনপি সফল হয়েছে। সফলতার জন্য ইনফোজিলিয়ন ট্যারিফ ৫ পয়সা থেকেও কমাতে রাজি বলে জানান বিটিআরসি’র সবেক এই কর্মকর্তা।
কর্মশালার শুরুতে টিআরএনবি সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, এই সুবিধাটা সরকারের পক্ষ থেকে সাবসিডাইজ হওয়া উচিত। তৃতীয় নেটওয়ার্কের জন্য ব্যবহার করা যেতে পেরে। চ্যালেঞ্জ বাড়বে।বিজ্ঞাপন দিতে পারে না। প্রতিষ্ঠানটির টেকনিক্যাল লিড ওবায়দুল ইসলাম জানান, বিশ্বের ৭২তম দেশ হিসবে বাংলাদেশে এমেনপি চালু হয়। এক বছরে গ্রাহক সাত লাখ হলেও পরের ছয় বছরে সিকিটাও বাড়েনি। এটুপি এগ্রিগেটর এবং এসএম ডিপিং প্লাটফর্ম করে তারা টেলিকম সেবার মান ধরে রাখতে কাজ করছে। রেগুলেটরি বাধায় ৯৭ শতাংশ মানুষ এই সেবা নেয়া বন্ধ করেছে। সেবা বাড়াতে গাইডলাইনে থাকা এ বিষয়ে গ্রাহক পর্যায়ে প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর বিধি থাকলেও পরে তা একটি চিঠিতে আটকে রাখা হয়েছে। সেটা কিছুদিন আগে খুলে দিয়ে পরের দিনই আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটররা এবং আামরাও যদি প্রচার প্রচারণা চালাতে পারি তবে এই প্রকল্পটি আবারো ঘুড়ে দাঁড়াবে।
কর্মশালায় ইনফোজিলিয়নের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাজ্জাদ হোসাইন মজুমদার, হেড অফ সার্ভিস আসিফুর রহমান, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার রিফাত হাসান উপস্থিত ছিলেন।