নির্বাচন পেছাতে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রীর শরণাপন্ন ই-ক্যাব রিফর্ম সদস্যরা

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ মে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৩-১৪ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করতে পারবেন ১৫ মার্চ থেকে। ৯ এপ্রিল প্রকাশ করা হবে বৈধ প্রার্থীর তালিকা। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ এপ্রিল।
তবে এই তারিখ পেছাতে বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটি-র সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমির খসরুর চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ই-ক্যাব রিফর্ম প্লাটফর্মের সদস্যরা। বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিগত সময়ে ই-ক্যাবে প্রশাসক নিয়োগের পর দ্রুততম সময়ে নির্বাচন করে পুরোনোদের ফের ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। একইসঙ্গে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা নিয়েও আপত্তি করেন কেউ কেউ। এসব শুনে যারা অনিয়ম করেছে তা লিপিব্ধ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন আমির খসরু।
রাজধানীর হোটেল শেরিনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের আয়োজন করে ইউনাইটেড আইসিটি ফোরাম।
ইউনাইটেড আইসিটি ফোরামের আহ্বায়ক এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাক্কো সভাপতি ফয়সাল আলিমের সভাপতিত্বে এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন চালডাল ডটকম এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ, ফুডপ্যান্ডায় খাবার সরবরাহকারী রেস্টুরেন্ট মালিক শাপলা খান, ই-কমার্স সেলার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ইসমাইল হুসাইন, সল্যুশন৯ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিবুর রহমান খান রানা, রিবানা সিইও মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, ফার্নিচার উৎপাদক মহিব হোসেন, পাট নিয়ে কাজ করা মো: ফারুক আলম, ই-পাইকার ডটকম প্রতিষ্ঠাতা শেখ সাফায়াত হোসেন প্রমুখ।
সবার অভিযোগ শুনে সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমির খসরুর চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের আইটি নির্ভর ব্যবসা আমাদের ভবিষ্যত। আইটি ব্যবসা ও অ্যাক্টিভিটিসের মাধ্যমে আমরা আমাদের অর্থনীতি দ্রুততম সময়ে পূণরুদ্ধার করতে সক্ষম হবো। এখানে বিপুল সংখ্যক তরুণের কর্মসংস্থান হবে। এ জন্য এখানে বিদ্যমান অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রমুক্ত করতে ডিরেগুলেশন করতে চাই।