ইলিশ রক্ষায় মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট মোতায়েন

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছধরা বন্ধে কঠোর নজরদারির অংশ হিসেবে যুদ্ধজাহাজ ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এর পক্ষ থেকে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে অবৈধভাবে মাছ ধরা ঠেকাতে ১৭টি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট মোতায়েন করা হয়েছে। এসব বাহিনী দিন-রাত নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে দেশি ও বিদেশি কোনো জেলে গভীর সমুদ্রে প্রবেশ করতে না পারে।
বাংলাদেশ সরকার ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে, যাতে ইলিশ নিরাপদে নদীতে ডিম ছাড়তে পারে।
প্রতি বছর বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশের ঝাঁক দেশের নদীগুলোতে ফিরে আসে ডিম ছাড়ার জন্য—যা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও খাদ্যসংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারগুলোর একটি। তাছাড়া ইলিশ শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও দারুণ জনপ্রিয়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অতিরিক্ত মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নিম্নাঞ্চলীয় বদ্বীপের পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, ফলে ইলিশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডফিশের সাবেক কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওহাব বার্তাসংস্থাটিকে বলেছেন, ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় পানিতে শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ প্রয়োজন। তাই ড্রোন ব্যবহার করাই উত্তম।
ইলিশ ধরায় তিন সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রতি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে অনেক জেলে জানিয়েছেন, এই সাহায্য জীবিকা নির্বাহের জন্য যথেষ্ট নয়।
৬০ বছর বয়সী জেলে সত্তার মাঝি বলেন, এই তিন সপ্তাহ আমাদের জন্য খুব কষ্টের সময়। আমরা তখন অন্য কোনো কাজ পাই না।