১৪ স্বর্ণপদকসহ ১৭ সম্মাননা জয়ীরা সংবর্ধিত

২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৪৭  
২ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:৫২  
১৪ স্বর্ণপদকসহ ১৭ সম্মাননা জয়ীরা সংবর্ধিত

দল বেঁধে গিয়ে যেন ব্যাগ ভরে সম্মাননা নিয়ে এলো বাংলাদেশের তরুণ ও কিশোর উদ্ভাকেরা। ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনের (ডব্লিউআইসিই) সপ্তম আসরে ১৪টি স্বর্ণ ও ৩টি রৌপ্য মিলিয়ে এই সম্মাননা নিয়ে ঘরে ফিরেছে ১৭ দলের ৫০ জন প্রতিযোগী।  ড্রিমস অব বাংলাদেশের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। দেশে ফিরে ১ অক্টোবর আকিজ হাউজে সংবর্ধিত হয় তারা। 

তরুণ উদ্ভাবক, সমস্যা সমাধানকারী এবং গবেষকদের উদ্ভাবন বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে ২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের কোটা ডামনসারায় অবস্থিত সেগি ইউনিভার্সিটিতে বসেছিলো ওয়ার্ল্ড ডব্লিউআইসিই ২০২৫ প্রতিযোগিতাটি। সেখানে ২৭টিরও বেশি দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের সঙ্গে  ১৭ দলে নিজেদের প্রকল্প উপস্থাপন করে প্রতিযোগিতা করে বিরল গৌরব অর্জন করলো বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়ান ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (IYSA) এবং সেগি ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে দল বেধে অংশ নেয় বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকেরা। দেড় হাজারের মতো প্রতিযোগী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অংশ নেয় এই আসরে। 

সেখানে কৃষি খাতে উদ্ভাবনী এবং প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান নিয়ে স্বর্ণপদক জয় করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সিএসই শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম ও ফজলে রাব্বির অ্যাগ্রো ডক্টর প্রকল্প। আইটি অ্যান্ড রোবটিকস ক্যাটাগরিতে ও বিশ্ববিদ্যালয় গ্রেডে এই সম্মাননা পায় বিইউবিটি’র প্রকল্পটি। একই গ্রেডে হেলমেট এমকিউ৩ প্রকল্প নিয়ে সোনা জিতেছে মুশফিকুর রহমান নাফিস ও আবু রায়হানের যৌথ প্রকল্প হেলমেট এমকিউ৩। তাদেরর দলের নাম ডেল্টাভল্ট। 

একইভাবে প্রতিযোগিতায় কলেজ ক্যাটাগরিতে ঢাকার বাইরে থেকে অংশ নেয়া চুয়াডাঙ্গা সায়েন্স অ্যান্ড রোবটিকস ক্লাবের তোহা ও তার সহযাত্রী জাহিদ হাসান জিহাদ এবং তাদের দল ‘হেক্সাগার্ড রোভার’ প্রকল্প নিয়ে রোবোটিক্স-ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক জয় করেন। তাদের উদ্ভাবিত প্রকল্পটি একটি উদ্ভাবনী রোবোটিক সিস্টেম, যা দুর্যোগকালীন উদ্ধারকাজ, নজরদারি এবং দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা কার্যক্রমে সহায়ক হতে পারে।

এছাড়াও স্কুল গ্রেডে ‘পথচারি ১.০’ প্রকল্প নিয়ে স্বর্ণজয়ী রেসকিউ রোভার দলের সদস্যরা হলেন- আদিয়াত ইয়ামিন রায়ান ও তাহমিদ বিন আলম।  একইসঙ্গে স্মার্ট মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট বট নিয়ে সোনা জয় করেছেন থ্রেটবট দলের দিব্যজ্যোতি সাহা ও সাফওয়ান সাঈদ আহমেদ। ইকো পালস প্রকল্প নিয়ে ইয়ং স্পার্কস অব বাংলাদেশ দলের স্বর্ণজয়ীরা হলেন- আহনাফ বিন আশরাফ নাবিল, আয়ান ইসলাম আরিয়ান ও লাবিব ইসলাম। আরো স্বর্ণজয় করেছেন ইকো ফিউশন প্রকল্পের উদ্ভাবক- আহনাফ আবেদিন, সামনুন সিয়াম, ইফরাজ মাহমুদ ও প্রাঞ্চয় তরফদার। টিম ফিউশন ফোর্সের স্বর্ণজয়ীরা হলেন- জারিফ বিন সালেক, সস্মিত বণিক ও মাশরুর আরেফিন ভূইয়া।

অপরদিকে এলিমেন্টারি গ্রেডের হলো এআই প্রকল্প নিয়ে ফাইয়াজ বিন ইকবাল একই সম্মাননা পেয়েছেন। পৃথিবীর বাইরে মানবাতার পরবর্তী বসত প্রকল্প নিয়ে জয়ী তারার বারী দলের সদস্যরা হলেন- কায়সান আরিজ যায়ান, রহমতুল্লাহ খান আইমান,  ও মুনতাসির রহমান। 

স্কুল গ্রেডে স্বর্ণজয়ী অ্যাকুয়া বট টিমের সদস্যরা হলেন- আহনাফ সাফোয়ান ইসলাম, আয়ান রহমান ও আনিসা বেগম। টিম রিভার গার্ড দলের স্বর্ণজয়ী সদস্যরা হলেন- অরণ্য আবির খান প্রাপ্য, তৌসিফ আহনাফ ও আবরার সাদিক রাহা। ফ্লাডহক প্রকল্প নিয়ে বিজয়ী প্যান্থম ফোর্জ দলের সদস্যরা হলেন-সাফওয়ান আনোয়ার, সাফায়াত হোসেন রোহান, মেহেদী হাসান রবিন, আব্দুর রহমান সাদেক আকন্দ, মায়শা রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ সায়েম, যুবরাজ সিকদার, নাঈদ হোসাইন ও ফয়জুল্লাহ মুনিম।

কলেজ ক্যাটাগরিতে ইনোভেশন সোশ্যাল সায়েন্স ক্যাটাগরিতে স্বর্ণজয়ী টেক অটোক্র্যাটস দলে রয়েছেন হাসিন ইসরাক চৌধুরি তহা, তানভীর রহমান সাদ ও ইশতিয়াক আহমেদ ইয়ামিন। আকাশ পাঠাবো দলের স্বর্ণজয়ীরা হলেন- শাফি বিন সুলতান, সাবিক বিন সুলতান ও সাফওয়ান সাদাদ।      

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে রোপ্যজয়ী তিনটি দলের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরির মুশফিকুর রহামান নাফিসের নেতৃত্বাধীন ডেল্টভল্ট, কলেজ ক্যাটাগরিতে তাসাহুদ বিন ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন দল অঙ্গনা ও স্কুল গ্রেডে জারিফ বিন সালেকের নেতৃত্বাধীন ফিউশন ফোর্স দল।