মেরিটাইম ইন্ড্রাস্টিকে নিরাপদ ও ডিজিটাল করতে 

বিএসসিএল-স্টারনুলা সমঝোতা চুক্তি সই

২৯ এপ্রিল, ২০২৫  
৩০ এপ্রিল, ২০২৫  
বিএসসিএল-স্টারনুলা সমঝোতা চুক্তি সই

দেশের জলসীমায় জাহাজ চলাচলকে নিরাপদ ও সুসংহত করতে এবং সুনীল অর্থনৈতিক (মেরিটাইম খাতে) বিকাশে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। এজন্য স্যাটেলাইট ভিত্তিক অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (AIS) স্থাপনে ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান স্টারনুলা (Sternula) এর সঙ্গে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল, ২০২৫) একটি  সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিএসসিএল সূত্রে প্রকাশ, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

রাজধানীর পুরোনো স্কাটন সংলগ্ন বিএসসিএল এর প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাম্পাদিত চুক্তিতে বিএসসিএলের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইমাদুর রহমান ও স্টারনুলা এর পক্ষে সিইও লার্স মলস্টেন সই করেন। এছাড়াও সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ডেনমার্ক দূতাবাসের হেড অব ট্রেড মিশন আলি মুশতাক বাটসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসসিএল সূত্রে প্রকাশ, স্যাটেলাইট ভিত্তিক অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম এআইএস ২.০/ ভিডিইএস  (AIS 2.0/VDES) বিশ্বের প্রথম প্রযুক্তি যা সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান স্টারনুলা (Sternula) এই সেবা দিচ্ছে। এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিএসসিএল ও স্টারনুলা সমুদ্রে চলাচলকারী বিভিন্ন বড়-ছোট জাহাজে যোগাযোগ স্থাপন, জাহাজ অপারেশন আরো মডার্ন ও ডিজিটাল করা, সমুদ্রবন্দরগুলোর সাথে চলাচলকারী জাহাজের অলটাইম যোগাযোগ স্থাপন, সমুদ্রে আরো বেশি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি ও নতুন ইনোভেশন বৃদ্ধিতে আলোচনা চালিয়ে যাবে।

সূত্র মতে, মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রায় ৩৭ হাজার বিভিন্ন ধরনের ফিশিং ট্রলারসহ মোট ৫০ হাজার নৌযান রয়েছে। কিছু কিছু নৌযান প্রায় ১০০ হতে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ফিশিং করতে চলাচল করে থাকে। এ বিশাল সংখ্যক নৌযানকে স্যাটেলাইট ব্যতীত নেটওয়ার্ক প্রদান করা সম্ভব নয়। বিএসসিএল ও স্টারনুলা বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতেকে গতিশীল করতে এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, স্যাটেলাইট ভিত্তিক AIS একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম, যা শিপিং লাইন, ফিশিং ট্রলার, বন্দর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জাহাজের অবস্থান, গতিবিধি, গন্তব্য, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নেভিগেশন সতর্কীকরণ প্রযুক্তিও রয়েছে এই সিস্টেমে। ম্যানুফাকচারিং হাবে পরিণত হলে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও সমুদ্র বন্দর আধুনিকায়ন করতে হলে এআইএস ২.০/ ভিডিইএস  প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।