ফেসবুকে ২৫টি ক্যাডারের প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু করেছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে এই কর্মসূচি পালন শুরু করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান জানিয়েছেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের দশ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত, একজনকে ওএসডি করা হয়েছে এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বিধি-বিধান বহির্ভূত একই ধরনের কার্যকলাপের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে, কর্তৃক এ ধরনের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে তারা এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারগুলোর মধ্যে সীমাহীন বৈষম্য রয়েছে। রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন ও প্রফেশনালিজম নিশ্চিতে সিভিল সার্ভিস সংস্কারের মাধ্যমে এ বৈষম্যগুলো নিরসন করা অত্যন্ত জরুরী। শুধু সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে নয়, বরং শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রেও প্রশাসন ক্যাডার অন্য ক্যাডারদের সাথে বৈষম্যমূলক ও পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ করছে। তাই সরকার ও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা এ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মত প্রকাশের জন্য ঢালাওভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ ব্যতিরেকে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকুরিবিধির পরিপন্থী। যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এভাবে বরখাস্ত করায় পরিষদ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার), উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে উন্মুক্ত পারীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও সকল ক্যাডারের সমতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছে। এ দাবির স্বপক্ষেও তারা গত ১৫ অক্টোবর তারিখে একযোগে ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি পালন করে।