ঢাকার উপকণ্ঠে সেন্টার অফ গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্থাপনের পরামর্শ

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  
ঢাকার উপকণ্ঠে সেন্টার অফ গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্থাপনের পরামর্শ

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের উপকণ্ঠে এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত), প্রকৌশল এবং আইসিটি/এআই (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি/কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বিষয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কমপক্ষে একটি সেন্টার অফ গ্লোবাল এক্সিলেন্স স্থাপনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারি টাস্কফোর্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের এক্সিলেন্স সেন্টার কেবল স্থানীয় শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে না বরং আন্তর্জাতিক পণ্ডিত এবং গবেষকদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যেও কাজ করবে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সিএসবিসিসি এন্ড আর ঐতিহ্যবাহী মিডিয়া এবং ডিজিটাল যোগাযোগ কৌশল উভয়ের জন্য একটি কাঠামোগত প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে এবং যোগাযোগ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ, সম্প্রদায়গুলোকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক কৌশল ব্যবহার করার উপর জোর দেবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উন্নয়ন কৌশল পুনর্গঠন, আর্থিক ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর খুঁজে বের করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ১২ সদস্যের এই টাস্কফোর্স গঠন করে।

শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘অর্থনীতির পুনর্কৌশলীকরণ এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সহজলভ্য করণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি হস্তান্তর  করেন।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অতি-নিয়ন্ত্রণ এবং আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের কারণে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এই ব্যাপক সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্কার কমিশন (আরআরসি) অপরিহার্য।’

আরআরসি’র কাজ হবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কর এবং বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক শাসনের সকল দিককে প্রভাবিত করে এমন নিয়মকানুন ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও সুবিন্যস্ত করা এবং সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রক অদক্ষতা চিহ্নিত করা। উদাহরণ টেনে এই আরআরসি-কে অতিরিক্ত পেপারওয়ার্ক, গুরুত্বপূর্ণ সম্মতির প্রয়োজনীয়তা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং শুল্ক বিভাগের মতো কর্তৃপক্ষের বিবেচনামূলক ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে।