স্যাটেলাইট ও জিআই সিস্টেমে নির্ভুল হচ্ছে ভূমির আয়তন ও সীমানা নির্ধারণ

৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:০০  
স্যাটেলাইট ও জিআই সিস্টেমে নির্ভুল হচ্ছে ভূমির আয়তন ও সীমানা নির্ধারণ

ডিজিটাল ভূমি জরিপের সুফল তুলে ধরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, এর মাধ্যমে ভূমির সঠিক পরিমাপ ও রেকর্ড সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে। আগে প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবিক ভুল, অনিয়ম ও জালিয়াতির সুযোগ ছিল। এখন স্যাটেলাইট ও জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ফলে ভূমির আয়তন ও সীমানা নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে।  অতীতে ভূমি জরিপ সম্পন্ন হতো হাতে-লেখা মানচিত্র ও কাগজের খতিয়ান-রেকর্ডের মাধ্যমে, যা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এ কাজ দ্রুত, নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ৩ নভেম্বর, সোমবার অনুষ্ঠিত ‘ইডিএলএসএম সফটওয়্যার সংক্রান্ত কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন সিনিয়র সচিব। 

ভূমির ডিজিটাল রূপান্তর বাংলাদেশের প্রশাসনিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব  আরো বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর যুগে ভূমি ব্যবস্থাপনা খাতেও এসেছে ডিজিটাল রূপান্তর। বাংলাদেশের ভূমি প্রশাসনকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও জনগণের জন্য সহজলভ্য করতে সরকার এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইডিএলএসএম) প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা ভূমি ব্যবস্থাপনাকে করেছে স্মার্ট, আধুনিক ও নাগরিকবান্ধব। 

কর্মশালায় ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, এলএমএস প্রকল্পের ল্যান্ড পলিসি স্পেশালিস্ট মো. হান্নান মিয়া ও মো. হামিদুর রহমান, ইআরডি ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য ছিলেন কোরিয়ান জিওমেক্সসফট-এর প্রধান নির্বাহী ড. জেয়ইয়ং ইউ। প্রকল্পের কার্যক্রম ও অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয় উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপপরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।