বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বৈষম্য নয়, রিভিউ হবে টেলিকম নীতিমালা
বেস্ট, ফাস্ট ও সিকিউরড নেটওয়ার্ক তৈরিতে নতুন টেলিকম নীতিমালায় স্পেকট্রাম ও ব্রডব্যান্ডের বিকাশে দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে কোনও বৈষম্য রাখা যাবে না বলে মনে করেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তার ভাষায়, 'অনির্বাচিত' সরকারের সীমাবদ্ধতা আছে৷ গণতান্ত্রিক সরকার আসলে আমি মনে করি বিষয়গুলো টেলিকম সহ সব নীতিমালা নির্বাচিত সরকার রিভিউ করবে।
২২ নভেম্বর, শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে টিআরএনবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিটিআরসি'র স্বাধীনতা ধ্বংস করে গত ১৪/১৫ বছরে টেলিকম খাত ধ্বংস করা হয়েছে। তাই আইসিটি ও টেলিকম খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার। দেশী বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাই পলিসি করার ক্ষেত্রে দেশীয় উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে এর সভাপতিত্বে নতুন টেলিকম নীতিমালা নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
অন্যান্যের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাসুদ কামাল, আব্দুন নূর তুষার, এআইওবি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, বাহন লিমিটেডের সিটিও রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, রবি'র সিইও শাহেদ আলম, টেলিযোগাযোগ পলিসি বিশ্লেষক আবু নাজম তানভীর হোসাইন, ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী,ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে জুনায়েদ সাকি বলেন, মোবাইল অপারেটরা বিদেশীনকোম্পানী। তারা কতটা জবাবদিহিতার মধ্যে আছে। নীতিমালা বিদেশীদের অধিকারে চলে যাবে! আইসিটি জাতীয় নিরাপত্তার অংশ। তাই এটি দেশী ব্যবসায়ীর হাতে থাকতে হবে।
আমুনুল হাকিম বলেন, নতুন নীতিমালায় ক্রস ইনভেস্টমেন্টে দেশীয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারবে না কিন্তয বিদেশীরা পারবে। এটা স্পষ্ট বৈষম্যে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় আমারা ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। অথচ বিদেশীরা যে সুযোগ পাবে, দেশীরা তা পাবে না। ফলে আগামী ৫ বছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভ করবে।







