নতুন প্রযুক্তির চিংড়ি চাষে চাষীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা

নতুন প্রযুক্তির চিংড়ি চাষে চাষীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা
২২ নভেম্বর, ২০২৫ ০৯:১৭  

সরকার ও উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা বাড়লে দ্রুত নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে দেশে নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন সাতক্ষীরার চিংড়ি চাষীরা।  

জেলার ‘চিংড়ি চাষ প্রদর্শনী খামার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ মিলনায়তনে ২১ নভেম্বর, শুক্রবার অনুষ্ঠিত নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের গবেষণা প্রকল্পের  ফল প্রদর্শনী এবং সমাপনী কর্মশালায় এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন তারা। 

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জি. এম. সেলিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

আলোচনাপর্বে অংশ নেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক বিপুল কুমার বসাক, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মো. শরিফুল আজম, সহকারী প্রকল্প পরিচালক আ. ন. ম. মুশফিক সালেহীন, এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফারহানা তাছলিমা। বক্তারা বলেন, নিবিড় পদ্ধতির চিংড়ি চাষ উপকূলীয় অঞ্চলে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতিতে টেকসই মৎস্যচাষ নিশ্চিত করবে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রকল্পের মূখ্য গবেষক ড. মো. হাসান ফারুক। তার সঙ্গে সহকারী মূখ্য গবেষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ আল মামুন। তারা উপস্থাপনায় জানান, নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে পানির গুণগত মান, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ ও উৎপাদনশীলতা বিষয়ে নানা ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। মাঠপর্যায়ের পরীক্ষামূলক চাষে উৎপাদন পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলেও জানানো হয়।

কর্মশালার মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন উপজেলার চিংড়ি চাষিরা। তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার ফলাফল বাস্তবে প্রয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, গবেষণা প্রকল্পের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে চিংড়ি উৎপাদনে সাতক্ষীরাকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে।

ডিবিটেক/প্রবি/ইক