‘কনসীয়েন্স ফ্লোটিলা’ থেকে সরাসরি — শাহিদুল আলম

গাজায় চলমান নৃশংসতার বিষয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমের নীরবতা ভাঙতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্যোগে পরিচালিত ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ফেসবুক লািভে গ্লোবাল ফ্লোটিলার সর্বশেষ খবর জানিয়েছেন তিনি।
লাইভ পোস্টে কনসীয়েন্স ফ্লোটিলার উপরের ডেকে দাঁড়িয়ে শাহিদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, “আমি শাহিদুল আলম। এটি এই তরঙ্গের ফ্লোটিলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং রওনা হওয়া শেষটি। গ্রিক কর্তৃপক্ষ থেকে ঝড়ের সতর্কতা পাঠানো হচ্ছে। আমরা গত রাতেই একটি ঝড়ের মধ্য দিয়ে গেছি। ক্যাপ্টেন গতিবেগ বাড়িয়েছেন যাতে আমরা ঝড়কে অগ্রগামী অবস্থায় রেখে চলতে পারি।
বর্তমানে ঝড় ও বজ্রপাত নিস্তেজ হয়েছে এবং বৃষ্টিও থেমে গেছে। আমরা ফ্লোটিলার বাকিদের তুলনায় পিছিয়ে আছি; সামনের দিকে থাকা জাহাজগুলো ইতিমধ্যে হামলার শিকার হয়েছে। তবু আমরা এই হুমকিতে বিচলিত না হয়ে গাজার দিকে নিজেদের পথ অব্যাহত রাখছি। আমরা অবরোধ ভাঙব—প্যালেস্টাইন মুক্ত হবে।”
লাইভ লিংক :
https://www.facebook.com/share/v/17Xgb6jqCb/
এদিকে গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’য় বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম অংশ নিয়েছেন। তবে তিনি একাই নন, যার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে—বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রুহি লরেন আখতারও রয়েছেন ওই সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নৌবহরটির সঙ্গে রয়েছেন তিনি।
রুহি লরেন আখতার ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস’ (আরবিবি) নামের একটি মানবিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা।
সংস্থাটি যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য জরুরি খাদ্য, স্বাস্থ্যসামগ্রী, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুহি লোরেন লিখেছেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্যান্য নৌযানের ঠিক পেছনে ‘সামারটাইম জং’ নামের একটি জাহাজে তিনি অবস্থান করছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এবং আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। নৌবহরের এই দলটি মানবিক সহায়তা নিয়ে ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে গাজায় পৌঁছানোর শেষ চেষ্টা করছে।