ইলিয়াস হোসেনের দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টও সরিয়ে দিলো মেটা?
সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুকের দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট ২০ ডিসেম্বর, শনিবার রাত থেকে দেখা যাচ্ছে না। অ্যাকাউন্টটি তিনি নিজেই নিষ্ক্রিয় করেছেন, না কি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা’র পক্ষ থেকে ব্যান্ড করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত থেকে ইলিয়াসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে মেটা ওই আইডি সরিয়ে দেয়। ২০ ডিসেম্বর, শনিবার দ্বিতীয় আইডি থেকে সক্রিয় হন ইলিয়াস। তবে রাত থেকে ওই অ্যাকাউন্টও দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য তৃতীয় একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তারা আপডেট দেয়া হচ্ছে। সেখানে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আমার দ্বিতীয় পেজ আনপাবলিকেশন করে রেখেছি কিছুক্ষণ পর পাবলিক করব’।
সূত্রমতে, ১৫ ডিসেম্বর গভীর রাতের সহিংস ঘটনার পরদিন ইলিয়াস হোসেনের প্রথম আইডি সরিয়ে দেয় মেটা। মেটার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না এলও একাধিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম ইংরেজিভাষী টিভি চ্যানেল হিসেবে পরিচিত Centraist Nation Tv এর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডাউন করে দিয়েছে মেটা। অ্যাকাউন্টটিতে দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) ফলোয়ার ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে কড়া বক্তব্য দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে তার ভূমিকা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিপুল ফলোয়ার ও বন্ধুদের নিয়ে ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটিই ছিল তার মত প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত ও সাময়িক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও দলটির নানা মত ও নির্দেশনা অব্যহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ ব্যক্তি ইলিয়াসের অ্যাকাউন্ট অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াস হোসেনের ফেসবুক থেকে দেশের শীর্ষ দুটি জাতীয় দৈনিক 'প্রথম আলো' ও 'দ্য ডেইলি স্টার' কার্যালয়ে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়ে একাধিক ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই পোস্টগুলোর পর রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকায় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ছায়ানট ও উদীচীর মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেও হামলার ঘটনা ঘটে।
একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলিয়াস হোসেনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০ লাখ এবং ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রায় ২২ লাখ অনুসারী ছিল। শুক্রবার রাত থেকে তার এই বিশাল অনুসারী থাকা প্ল্যাটফর্ম দুটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেটা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, সহিংসতা উসকে দেওয়া ও জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্ট প্রচারের কারণে মেটা তাদের 'কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড' অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
ডিবিটেক/এফএম/ইক







