শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের বিবৃতি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসরদের হাতে নির্মমভাবে নিহত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (AEB)। সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তির প্রধান কারিগর।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদদের হত্যা করে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল সদ্য স্বাধীন হতে যাওয়া বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা এবং জাতির আত্মপরিচয় ও জাতীয়তাবাদী চেতনাকে চিরতরে ধ্বংস করা। শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত।
প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি শোষণমুক্ত, মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাদের আত্মত্যাগ কেবল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ নয়; বরং তা ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সকল প্রকার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজও চলমান সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁদের চিন্তা ও আদর্শ বাংলাদেশের রাষ্ট্রচিন্তা, শিক্ষা ও উন্নয়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়ে চলেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সকল মানুষের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন ও কর্ম অনুকরণীয়। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস যথাযথভাবে তুলে ধরা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নৈতিকতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শনের অন্যতম উপায়।
সংগঠনটির আহ্বায়ক বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি মর্যাদাসম্পন্ন, ন্যায়ভিত্তিক ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তাঁদের দেখানো পথেই এগিয়ে যেতে পারলে জাতি হিসেবে আমরা একটি শক্তিশালী ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ(AEB) গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।
ডিবিটেক/এসএফ/ইকে







