এআই , সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দাবি

১৭ জুলাই, ২০২৫  
১৭ জুলাই, ২০২৫  
এআই , সেমিকন্ডাক্টর প্রকৌশলীদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দাবি

আগামী ৭-১০ বছরে এআই ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রবিৃদ্ধি ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়য়ে যাবে। এই শিল্পের অন্তত ১ শতাংশ ধরতে পারলেই আগামী ১০ বছরের মুদ্রাস্ফিতির ধাক্কা সামলে আমরা ১৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হবো। আর এজন্য আইপি প্রোটেকেশনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বললেন যুক্তরাষ্ট্রের পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোস্তফা হোসাইন। 

১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলমান বিয়ার সিম্পোজিয়ামের শেষ দিনের কি-নোট প্রেজেন্টেশনে এই আহ্বান জানান তিনি। 

মোস্তফা বলেন, আইপি প্রোটেকশন ছাড়া আগামীতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এজন্য আইওটিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এখনই। মনোযোগ দিতে হবে থ্রিডি আইডি প্যাকেজিং, ডিজিটাল টুইন, এআই ডেভলপিং এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন ৩ হাজারের বেশি প্রাবাসী বাংলাদেশী। বৈশ্বিক এআই খাাতে জি হেলথ কেয়ারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু মির্জা, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বাংলাদেশের মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং অ্যাপলাইড ম্যাটেরিয়ালস এর সদ্য সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আনিসুল খান, ইনোভিক্স ভাইস প্রেসিডেন্ট শাতিল হক, গ্লোবাল ফাউন্ডার্স ভিপি ড. মাহবুব রাশেদ,ওয়াইইএস সিটিও জিয়া করিম সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছন। এছাড়াও সেমকন্ডাক্টর শিল্পে ইউনিভার্সিটি অব বার্কলে’র অধ্যাপক সাইফ সালাউদ্দিন তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টরকে (টিএসএমসি) নতুন উচ্চতায় নিয়েছেন। 

তাই এসকল ব্যক্তিদের তারকা খেতাব দিয় জাতীয় বীরের মর্যাদা দাবি করেন এই অধ্যাপক। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে বায়োটেক ও ফর্মেসি। এখন সেমিকন্ডাক্টরে মনোনিবেশ করে রোবটিক ও এআই অন্তর্ভূক্ত করা হলে ডিজিটাল অর্থনীতির পালে লাগবে হাওয়া। আমাদের দেশেই রয়েছে বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরে নেতৃত্ব দেয়া সাত জন বিশেষজ্ঞ। সাইফ সালাউদ্দিন,সাকিব খানদের মতো মর্যাদা দিতে হবে। 

আর্থিক স্থিতিশীলতার সফট পাওয়ার এর বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়র দিয়ে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বিকাশ ঘটেনি এর পেছনে অবদান রেখেছে ম্যাটেরিয়াল সায়েন্টিস্টরা। আপনি যদি জিও সায়েন্টিস্ট হয়ে থাকেন তবে তারা সহজেই দেখতে পাবেন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে ৮৭টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান সরবরাহ করতে হয়। সফট পাওয়ারের কারণে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এমবার্গো দিতে পারে। 

এই শক্তি অর্জনে তিনি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ৩০ শতাংশ এবং সরকারের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের মাধ্যম ফ্যাব ল্যাব স্থাপনের পরামর্শ দেন। এজন্য প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নের কথা বলে মোস্তা হুসাইন বললেন, অ্যাসেমব্লি, টেস্টিং ও প্যাকেজিংয়ে সরকার উদ্যোক্তাদের ৫০০০ ডলার ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেয়া পরামর্শ দিয়েছি। এই প্রস্তুত শেষ করতে পারলে সেমিকন্ডক্টরের কাজ সেনজেন থেকে বাংলাদেশে চলে আসবে। এজন্য আমার ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা করেছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমরা যদি ২০ হাজার দক্ষ বিয়ার পেশাদার তৈরি করতে সক্ষম হই তবে সেমিকন্ডক্টর শিল্প থেকে আগামী ৫ বছরে  বাংলাদেশ ১৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করতে সক্ষম হবো।