তিন দফা দাবিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দাবি পূরণের রোডম্যাপ চায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা

পুলিশি হামলার বিচারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’র উদ্যোগে ৭ সেপ্টেম্বর,, সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
বিক্ষোভ শেষে দেয়া বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন বলেন, বুয়েট ৩০ ব্যাচের কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ নাসিফ এখনো ঢাকা মেডিকেলে কাতরাচ্ছে। তিনি এখনো আশঙ্কা মুক্ত নন। তার পেটের অন্ত্রে স্প্লিন্টার ঢুকে ৫টি ছিদ্র হওয়ায় তিনি ইনফেকশন ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও এখনো কমিটি এখনো কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। আমাদের সঙ্গে কথাও বলেনি। পুলিশের ন্যাক্যার হামলার বিচার হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিপল ই বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান পিয়াস বলেন, আমাদের তিন দফা দাবিসমূহ হলো- নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ এবং ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা; দশম গ্রেডে ডিপ্লোমা কোটা বাতিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করা এবং বিএসসি ছাড়া কেউ যেন নামের সঙ্গে ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহার করতে না পারে। গত ২৭ আগস্ট এই দাবি ও সংস্কারের দাবিতে আমরা পুলিশি হামলার শিকার হই। ঘটনার তদন্তে এখনো কোনো রোডম্যাপ প্রকাশ না করার বিষয়টি আমাদের জন্য হতাশাজনক। এ কারণেই আজ আমরা ফের রাস্তায় এসে দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একইসঙ্গে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অনেকে আহত হন।