তথ্য প্রযুক্তিতে নারী নেতৃত্ব ১০ ভাগের কম

১৭ মে, ২০২৫  
১৮ মে, ২০২৫  
তথ্য প্রযুক্তিতে নারী নেতৃত্ব ১০ ভাগের কম

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে "ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন"  প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ১৭ মে সারা বিশ্বে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবস-২০২২ উদযাপিত হচ্ছে। এবার অবশ্য নিজেদের প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) 

 দিবসের মূল আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: এমদাদ উল বারী (অব.) বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৮ কোটি ৬৫ লাখ মোবাইল গ্রাহক এবং ইন্টারনেট গ্রাহক ১৩ কোটির বেশি, যার মধ্যে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি। 

তিনি বলেছেন, দেশে  তথ্য প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ২০ শতাংশ, ই-কমার্সে ১৫ শতাংশ, কলসেন্টার-৩০ শতাংশ এবং তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ১০ ভাগ কম। মোট জনগোষ্ঠীর ৫২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।  এরমধ্যে ২৯ শতাংশ নারী মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।  

তিনি আরো বলেছেন, ডিজিটাল রুপান্তরের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য সামাজিক কুসংস্কার নিরসন, নারীদের জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষরতা, সুলভ মূল্যে ডিভাইস ও ইন্টারনেট প্যাকেজসহ সাইবার বুলিংয়ের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিটিআরসি শুধু অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নয়, একটি টেকসই টেলিযোগাযোগ খাত বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। 

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বর্তমান মহাসচিব ডোরিন বোগডান-মার্টিন বলেন, প্রতিটি প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণের অধিকার রাখা সার্বজনীন অধিকার, আমরা এমন একটি ডিজিটাল ফিউচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল রুপান্তরে ক্ষেত্রে যে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো যেহেতু চিহ্নিত করা রয়েছে। সেহেতু বর্তমান সরকার অনেকগুলো সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড নিয়েও কাজ করছে। নারীর সময়তায়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য সমান নয় বরং সমতাভিত্তিক হতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রসার মন্ত্রনালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমানে ৩০ ভাগ নারী  প্রযুক্তি বিষয় পড়াশোনা করছে। নারীবান্ধব প্রযুক্তি শিক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়ানোর পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল রুপান্তর কেবল প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কিংবা কানেক্টিভিটি নয় বরং এটা সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই করতে হবে, তাহলে নারী-পুরুষের সমতায়ন নিশ্চিত হবে। নারীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী মূল্যে ডিভাইস ও  ইন্টারনেট সরবরাহ জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী এবং জুলাই বিপ্লবে নারীদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও  তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি দিবসের প্রতিপাদ্যে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হবে ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।