নানা আয়োজনে যবিপ্রবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

১৫ এপ্রিল, ২০২৫  
১৫ এপ্রিল, ২০২৫  
নানা আয়োজনে যবিপ্রবিতে  পহেলা বৈশাখ উদযাপন

নতুন বাংলাদেশের সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি কামনা ও নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান স্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথম দিনকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা বর্ষবরণের কর্মসূচি শুরু হয়।

বর্ষবরণের কর্মসূচির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে নেতৃত্ব দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ।

শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে নিয়ে তারুণ্য ও উদ্যোক্তা মেলা পরিদর্শন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য। পরিদর্শন শেষে দেশীয় সংস্কৃতি উৎসব ২০২৫ শুরু হয়। উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, নতুন বছর আমাদের সকলের জন্য শুভ হোক। নতুন বছরের প্রত্যাশা সকল গ্লানি মুছে যাক, জরা ঘুচিয়ে নতুনভাবে প্রস্ফুটিত হোক, ইতোমধ্যে নতুন পাতায় ভরে গেছে বৃক্ষ ঠিক এমনিভাবে আমরা যারা মানুষ আছি তারাও নতুনভাবে পরিবর্তিত হবো, মানবিক মানুষ হবো। আমরা যদি মানবিক মানুষ হিসেবে নিজেদের পরিবর্তন না করতে পারি তাহলে আমামদের এই পৃথিবীতে জন্ম কতোটুকু স্বার্থক হবে সেটির প্রশ্ন থেকে যায়। আমি চাই জুলাই-২৪ আন্দোলনের পরিবর্তী বাংলাদেশ স্বনির্ভর, আধুনিক এবং মানবিক বাংলাদেশ হবে। আর এই মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। স্কুল, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে তরুণরা রয়েছে, এই তরুণদের মানবিক তরুণ হিসেবে তৈরি করতে চাই, যে তরুণ উদ্যোক্তা হবে, যে তরুণ ব্যবসায়ী হবে, নিজের দেশের জন্য কাজ করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তারুণ্য ও উদ্যোক্তা মেলা এবং দেশীয় সংস্কৃতি উৎসবের মধ্যে আরোও ছিলো শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে যেমন খুশি তেমন সাজো, বৈশাখী ও দেশীয় সংগীত এবং কবিতা আবৃত্তি পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা, রম্য বিতর্ক ও নাটক, তরুণ উদ্যোক্তাদের জীবনের গল্প এবং শেষে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপি কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। 

অনুষ্ঠানে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাফিউল হাসানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এস. এম. নুর আলম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন মো. ড. আমজাদ হোসেন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যবিপ্রবির ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসেও আনন্দ শোভাযাত্রা ও দেশীয় সংস্কৃতি উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথম দিনকে বরণ করে নেওয়া হয়।