পদ্মায় আটকা বিটিআরসি’র ৩৯ কোটি টাকা

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১০:২০  
পদ্মায় আটকা বিটিআরসি’র ৩৯ কোটি টাকা

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়ে ফারমার্স ব্যাংক। তারপরও ব্যাংকটিতে আমানত হিসেবে রাখা হয় বিপুল সরকারি অর্থ। ডুবতে থাকা এ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান (মখা) আলমগীর পদত্যাগ করলে চেয়ারম্যান হন আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী নাফিজ সরাফাত। এরপর ফারমার্স নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ব্যাংক নামে যাত্রা এটি শুরু করে।

ওই বছরেই সেই ব্যাংকের মতিঝিল, মিরপুর, বসুন্ধরা, ইমামগঞ্জ শাখায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা এখন ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাক ৩৮ হাজার টাকা। গত কয়েক বছর ধরে পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে বারবার সভা করা, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অসংখ্য চিঠি দেয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ডিও দিয়েও পাওনা ফেরত পাচ্ছে না নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। এখন

সূত্রমতে, সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারির শেষে বিটিআরসি আবারও পদ্মা ব্যাংকের কাছে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সভার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেবে তারা।

তবে টাকা ফেরত দিতে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পদ্মা ব্যাংকের সিইও কাজী মো. তালহা। অপরদিকে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের দাবি, দুর্বল ব্যাংক জেনেও বিটিআরসি যে সকল কর্মকর্তারা এই সকল ব্যাংকে টাকা এফডিআর করে রেখেছিল এবং সেখান থেকে নিজেদের অতিরিক্ত কমিশন পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এদিকে আওয়ামী লীগের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নামে একটি ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই নামের প্রতিষ্ঠানটির ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), ভাইস চেয়ারম্যান তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছেন শেখ রেহানার পুত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং তৎকালীন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।