প্রথম ফিজিটাল বাংলাদেশ চ্যম্পিয়ন এক্সএল

একই মাঠে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল উভয় প্লাটফর্মেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম ফিজিটাল ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এক্সট্রিম লুঙ্গি (এক্সএল)। ঘরোয়া ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী টিম কেকে-কে হারিয়ে ৮-১৯ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জিতেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গিপ্রেমীরা। খেলায় প্রথমে পিসিতে এএফসি২৪ খেলে কে কে-কে ১৫ গোল দেয় চ্যাম্পিয়ন দল। এরপর মাঠে নেমে দিয়েছে ৪টি গোল। অপরদিকে রানার্সআপ কেকে পিসিতে ৩টি এবং মাঠে ৫ গোল দেয়।

ফলে চূড়ান্ত আসরে দুবাইয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘গেম অব দ্যা ফিউচার’ ফিজিটাল ফুটবলের আঞ্চলিক পর্বের টিকেট পেলো বাংলাদেশের টিম এক্সএল। বিশ্বের ৩২টি দেশের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে খেলবে তারা। দলের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ছাড়াও ৫০ হাজার টাকার একটি ডামি চেক গ্রহণ করেন এক্সএল দলনেতা মারুফুল ইসলাম। এছাড়াও ৩০ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন রানার্সআপ দলনেতা ইলতেমাস আমিন আদি।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাইডেসা’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমিত রিচার্ড ও ভিপি নেওয়াজ মাহতাব, এমএসআই বাংলাদেশের তৌহিদ হোসেন ও হুমায়ুন কবির এবং ডিস্ট্রিবিউশন হাব ব্যবস্থানা পরিচালক মাজহারুল আলম মাজহার।

টুর্নামেন্টে খেলার শুরুতে হয়েছে ভল্টা ফুটবল ম্যাচ। সেখানে তিন মিনিট খেলার পর দুইজন মাঠে গিয়ে খেলে বাকি দুইজন খেলতে থাকেন পিসিতে। টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন এক্সএল দল মোট ৫টি ম্যাচ জিতেছে। এই দলের সদস্যরা ডিজিটাল ম্যাচে ভালো করায় বাজিমাৎ করতে সক্ষময় হয়। এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল উভয় মাঠেই খেলেছেন সাদমান সাকিব আয়মান ও দলনেতা মারুফুল ইসলাম রাফি। শুধু পিসির মাঠে খেলেছেন ডাইয়্যান খান ও সাকিব হোসেন জিসান। আর ১০ মিনিটের ঘাসের মাঠে সর্বোচ্চ ৮ গোল দিয়েছেন ফায়েজ আহমেদ ইফতি। বাকি সদস্যরা হলেন মোঃ মঈন আহমেদ, নোমান আহমেদ বিশাল, প্রীতম হাসান ও ফায়জুল্লাহ। কোচ ছিলেন তৌসিফ ইসলাম।

এর আগে রবিবার রাজধানীর অদূরে বেরাইদের ১০০ ফিটের অ্যাথলেটস হাবে বসে ডব্লিউপিসি গেইম এমএসআই বাংলাদেশ ফিজিট্যাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ। তিন দিনের এই ফিফা চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি গ্রুপে অংশ নিয়েছে ১৬টি দল। সেমিফাইনালের খেলা দেখতে আসেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি।

খেলায় সেমিতে মাই নেইবার্স দলকে ৪-৭ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে টিম কে কে। অপরদিকে গ্যালাক্টিক ডায়নামিক-কে ৪-১২ গোলে হারিয়ে চূড়ান্ত আসরে জায়গা করে নেয় এক্সএল। আর তৃতীয় স্থান নির্ধারনীতে মাই নেইবার্স-কে ২-১০ গোলে কুপোকাত করে গ্যালাক্টিক ডায়নামিক। এই দলের দলনেতা মহিউদ্দিন মহির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকার ডামি চেক।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইলেকট্রনিক স্পোর্টস এসোসিয়েশানের (বাইডেসা) এর ব্যবস্থাপনায় খেলায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলো এমএসআই বাংলাদেশ। বাস্তবায়ন করেছে ফিজিটাল বাংলাদেশ।