১০টির বেশি সিম ছাড়তে ৩০ অক্টোবরের পর্যন্ত সময় বাড়লো

কোনো ব্যক্তির নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে তা অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে ‘ডি-রেজিস্টার’ করতে বলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন—বিটিআরসি। এজন প্রথম নোটিশে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হলেও তা এক মাস বাড়িয়ে করা হলো ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে বিটিআরসি থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে যাদের ১৫টি সিম রয়েছে, তাদের সিমের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে হবে। একক নামে কতো সিম আছে, সেটা জানা যাবে *১৬০০১# ডায়াল করে। ১০টির অতিরিক্ত সিম গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে ‘ডি-রেজিস্টার’ করতে পারবেন।
বিটিআরসি’র এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ১০টির অতিরিক্ত সিম আছে— এমন ২৬ লাখ গ্রাহকের ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে ২০১৭ সালে একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দিয়েছিলো বিটিআরসি। এর আট বছর পর চলতি বছরের ১৯ মে কমিশন সভায় ১৯ মে সিমের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। সিম কমানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কমিশন এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা করেছে।
বিটিআরসি’র পর্যালোচনা বলছে, এতগুলো সিম একজন গ্রাহক ব্যবহার করেন না। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা, অপারেটরদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলন চর্চা বিবেচনায় একজনের নামের বিপরীতে সিম সর্বোচ্চ ১০টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিশনের মে মাসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার। আর বিক্রি হওয়া সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ। এসব গ্রাহকের মধ্যে পাঁচটি বা তার কম সিম রয়েছে ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ গ্রাহকের।
পাঁচ থেকে ১০টি পর্যন্ত সিম রয়েছে ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ গ্রাহকের। ১১ থেকে ১৫টি পর্যন্ত সিম রয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ গ্রাহকের।
অপারেটরগুলোর ১৫টি সিমধারী গ্রাহকের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য পর্যালোচনা করে কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, “দেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ সিম বিক্রি হয়।
গ্রাহকের সিম নিবন্ধনের তথ্য পর্যালোচনা করে আরও দেখা গেছে, একজন গ্রাহক একদিনে দুই বা ততোধিক সিম নিবন্ধন করছেন, যা অস্বাভাবিক। কিছু অসাধু রিটেইলার (খুচরা ব্যবসায়ী) গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ) সংরক্ষণ করে অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন করে থাকেন, যা ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”