নতুন মামলায় পলক; ফের আলোচনায়

জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে ঢাকায় রাসেল গাজী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার এ আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ।
ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় রাসেল গাজী হত্যা মামলায় এ দিন পলককে আদালতে উপস্থিত করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গ্রেফতার দেখানো আদেশ দেন বিচারক।
এ দিন আদালতে শুনানি শুরুর আগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় আইনজীবী কারাগারে পলকের কোনো কিছু প্রয়োজন আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। কোনো বই লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করেন তার আইনজীবী। এখন কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন কারাগারে এই প্রশ্নের উত্তরে পলক বলেন, ‘কারাগারে নিয়মিত কোরআন শরীফ পড়ছি। কোরআন শরীফ এক খতম দিয়েছি। ‘ এ সময় পলকের কোমরে ব্যাকপেইনরোধক বেল্ট দেখা যায়। তখন শারীরিক সুস্থতার বিষয়ে জানতে চান আইনজীবী। পলক বলেন, ‘আছি কোনরকম।’
আদালত শেষে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী বলেন, ‘তিনি কারাগারে কোরআন শরীফ পড়ছেন। কারাগারেই এক খতম দিয়েছেন। কোমরে ব্যাকপেইন আছে।’
এর আগের দিন ২৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে আনা নেয়ার সময় পুলিশের প্রিজনভ্যানে দাঁড়িয়ে অঝোরে কান্না করে আলোচনায় আসেন সাবেক আইসিটি ও টেলিকম প্রতিমন্ত্রী। এর পর সেই কান্নারত ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মিডিয়ায়।
ওইদিন শুনানি শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রিজনভ্যানে তুলে তাকে ফেরত পাঠানো হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এ সময় তার মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, দুই হাতে হাতকড়া। তবে প্রিজনভ্যানে ওঠানোর পর খুলে দেয়া হয় হেলমেট ও হাতকড়া। এ সময় পলকের কাছাকাছি চলে আসেন কিছু মানুষ। তারা পলকের এলাকার (নাটোর) লোক বলে জানা যায়।
তখন একজন বলেন, ‘কোনো টেনশন কইরেন না, ভাই।’ এ কথা শোনার পর পলক কাঁদতে শুরু করেন। তখন সেই লোক বলতে থাকেন, ‘পলক ভাই, কাইন্দেন না।’ এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন পলক। এরপর ধীরে ধীরে পলককে নিয়ে কারাগারের দিকে রওনা হয় প্রিজনভ্যান।