টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের এক পক্ষ পর পাশ হলো টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা-২০২৫। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে নতুন আইনিটি প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসটেন্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস (আইএলডিটিএস) বাতিল করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর এ সংস্ক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। একই দিনে প্রঙ্গাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশে তা বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রমতে, ইতিমধ্যেই নীতিমালার অধীনে গাইডলাইন প্রস্তুতে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক করেছে বিটিআরসি। আগামী মাসেই আসতে পারে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন।
এদিকে পুরোনো আইন বাতিল হওয়ায় লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণের পর থেকেই চার লাইসেন্স দিয়ে চলবে দেশের টেলিকম সেবা। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে বিদ্যমান লাইসেন্সিদের নতুন লাইসেন্স কাঠামোতে ব্যবসায় পরিচালনা করতে হবে।
আইটিসি কিংবা আইআইজি বা আইজিডব্লিউ লাইসেন্স বাদ দিয়ে এখন এক লাইসেন্সের অধীনে এই সেবা দেয়া হবে। ফাইবার নেটওয়ার্ক, টাওয়ার ব্যবসা, ডেটা সেন্টারের মত অবকাঠামো খাতে পৃথক লাইসেন্স না নিয়ে এক লাইসেন্সে ব্যবসা করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। প্রাইভেট ফাইভ-জি, ভয়েস ওভার ওয়াইফাই, ওয়াইফাই-৬, ওয়াইফাই-৭ এর মত সেবাগুলো দেওয়া যাবে সহজেই। এক্ষেত্রে সেবার রকমফের অনুযায়ী ‘অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (এএনএসপি), ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (এনআইসিএসপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিভিটি সার্ভিস প্রোভাইডার (আইসিএসপি) হিসেবে এই খাতে ব্যবসায় করতে পারবেন অপারেটররা।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর ভাষায় “এই নীতিমালার মাধ্যমে লাইসেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে স্তরায়ন কমিয়ে মধ্যস্বত্ত্বভোগী কমিয়ে এবং প্রতিযোগিতামূলক সেবা নিশ্চিত করা হবে। এতে সরকারের রাজস্ব না কমিয়েও গ্রাহকদেরকে সুলভ মূল্যে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।”