প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি ছাড়া আর্থিক খাতের অগ্রগতি সম্ভব নয়: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ছাড়া দেশের আর্থিক খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।” ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি সম্মেলন (আইসিবিটি) ২০২৫-এর সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, বর্তমানে দেশের রপ্তানি আয় প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০ বিলিয়নে উন্নীত করতে হলে নীতি সহায়তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগে চায়না বাংলাদেশ থেকে অনেক এগিয়ে আছে; ফলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকেও এ খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিদ্যায় দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই ব্যবসায়িক চর্চা গড়ে তোলার মাধ্যমে গবেষণা ও নীতি উদ্ভাবনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ইউএপি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, ইউএপি ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে জ্ঞান ও মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সমাপনী অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহমুদ উসমান ইমাম এবং সমাপনী বক্তব্য দেন ইউএপি’র ব্যবসায় অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. এ. বাকী খালিলী।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন ২০ সেপ্টেম্বর ইউএপি ক্যাম্পাসে শুরু হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল— “টেকসই উন্নয়ন অর্জনে ব্যবসা ও প্রযুক্তির আন্তঃসম্পর্ক।” সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৫০ জন অংশগ্রহণকারী ১০০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া বিদেশ থেকে আগত ১০ জন কী-নোট বক্তা, প্যানেল আলোচনা, ইন্টারেক্টিভ সেশনসহ নানাবিধ কর্মসূচি ছিল সম্মেলনে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। দেশি-বিদেশি শিক্ষাবিদ, নীতি নির্ধারক ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের সক্রিয় অংশগ্রহণ সম্মেলনটিকে ব্যবসা, শাসনব্যবস্থা ও প্রযুক্তি খাতের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনার প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে।