সাইবার চুরির ফিলিপাইনে ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৪  
সাইবার চুরির ফিলিপাইনে ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত

বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ইতিহাসের অন্যতম বড় সাইবার ডাকাতি মামলায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) ৮১ মিলিয়ন ডলার আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে আট বছর ধরে বিভিন্ন আইনিপ্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পর সিআইডি এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করার তথ্য দিল।

২১ সেপ্টেম্বর, রবিবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী বাজেয়াপ্তকৃত অর্থ বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলার অংশ হিসেবে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে সিআইডি জানিয়েছে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ইতিহাসের অন্যতম বড় সাইবার ডাকাতি সংঘটিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার জাল সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হয়। 

এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ফেরত আসে। তবে বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার ভুয়া হিসাবে জমা হয়। পরে তা দ্রুত বিভিন্ন ক্যাসিনোর মাধ্যমে পাচার করা হয়।

ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা করে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়। ফিলিপাইনের আদালতে আরসিবিসি ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শাখা ব্যবস্থাপক মায়া ডিগুইটো দোষী সাব্যস্ত হন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে নিউইয়র্ক আদালতে আরসিবিসি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় অর্থ রূপান্তর, আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়।

এ পর্যন্ত ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা গেলেও বেশিরভাগ অর্থের হদিস মিলছিল না। তবে এবার আদালতের আদেশে ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত হওয়ায় মামলার অগ্রগতি নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন