ষষ্ঠ বিপিও সম্মেলনের উদ্বাধনীতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি 

রিফারবিশ পণ্যের বদলে জিপইউ আমদানির আহ্বান

২১ জুন, ২০২৫  
২১ জুন, ২০২৫  
রিফারবিশ পণ্যের বদলে জিপইউ আমদানির আহ্বান

ষষ্ঠ বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেছেন, কেবল একটি শিল্প সম্মেলন নয়, এটি একটি জাতীয় রূপান্তরের মঞ্চ। দেশের ১টি গ্রাম থেকেও ল্যাপটপ, ইন্টারনেট নিয়ে রেমিটন্স আয় করছে। ফলে সমাজ ও জাতীয় অর্থনীতিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নেবে৷ নতুন প্রজন্মকে আত্মবিশ্বাসের জায়গা করে দিয়েছে৷ চিন্তা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনার প্রেরণা এই সামিট।

বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম এর সভাপ‌তি‌ত্বে অনুষ্ঠা‌নে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত দুই বছরে প্রযুক্তিতে অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে। এখন এলএলএম বা এআই-কে আলিঙ্গন না করলে ব্যবসায়ীদের ঝড়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এক জায়গায় স্থির থাকা যাবে না। সরকারের ৫৭টি মন্ত্রণালয়কে ডিজিটাল রূপান্তরে আসতে হবে। পেশাগত উন্নয়নে সবাইকে রিইউনিয়ন, রিবিল্ড করতে হবে। জনেরিক বা এ ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।কলসেন্টারগুলোর কর্মীরা পরামর্শকের ভূমিকা পালন করবে।

পেপ্যাল জটিলতায় শিগগিরি দেশ আলী পে ও স্ট্রাইপ আনা হচ্ছে বলে জানান বিশেষ সহকারী।

এআই ও ক্লাউডে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বারোপ করে ফয়েজ বলেন, রিফারবিশ আইটি পণ্য যেন দেশে আমদানী করা না হয় সে জন্য আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা বলবো। আর তারা যেন এর পরিবরতে সিপিইউ, জিপইউ আমদানি করেন সেজন্য অনুরোধ করবো।

এসময় এআই নির্ভর বিপও'র জন্য ইনসেন্টিভ প্রদান এবং প্রযুক্তি সেবাদাতাদের পরিবেশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

এছাড়াও আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বৈষম্য কমছে। খুব শিগগিরই স্ক্যান ছাড়ার একই সঙ্গে সরকারি ফাইল সব দপ্তরে একই সঙ্গে আপডেট করতে হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাঈদ উদ্দিন বলেন,সফলতা পাবার জন্য নয় জনকল্যাণে কাজ করবে সরকার। 

উদ্বোধনীতে সমাপনী বক্তব্য দেন  বাক্কো সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলীম। এসময় কার্য নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি খায়ের। সহ-সভাপতি তানজরুল বাশার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুসনাদ ই আহমেদ, অর্থ সম্পাদক আমিনুল হক, পরিচালক দাউদ খান, ফজলুল হক, আবদুল কাদের, জায়েদ উদ্দিন আহমেদ, মেহদী হাসান জুলফিকার এবং সায়মা শওকত উপস্থিত ছিলেন।   

উদ্বোধনী পর্বের পর দিনব্যাপী চলে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এতে বৈশ্বিক বিপিও চাহিদা, বাংলাদেশের অবস্থান এবং তরুণদের ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।

সামিটে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি)।