সোশ্যাল ট্যাবু কাটিয়ে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান

কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই

২১ মে, ২০২৫  
২২ মে, ২০২৫  
কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই

সোশ্যাল ট্যাবু কাটিয়ে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তর্গত দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক, বাস্তবভিত্তিক ও ভবিষ্যতমুখী নীতিচিন্তার ভিত্তি তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন থাদ সংশিলষ্টরা। তারা মনে করেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রম বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যার ফলে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বের হওয়ার পরেও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যত বেশি শিক্ষিত হচ্ছে, তত বেকারত্ব বাড়ছে। তাদের মাতে, এমন অবস্থা থেকে উত্তরণে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প নেই। সরকারি চাকরির পেছনে না ছুটে কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়, সে বিষয়ে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।

বুধবার (২১ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘যুবদের সংস্কার ভাবনা : কর্মসংস্থান স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি শীর্ষক সেমিনারে এমন পরামর্শ দেন বক্তারা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সেমিনারের আয়োজন করে। সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী ফখরুদ্দিন আল কবির।
প্রথম অধিবেশনের বিষয় ছিল ‘কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি’। সম্মেলনে আলোচনা করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিবন্ধন ও সনদায়ন) অতিরিক্ত সচিব আলিফ রুদাবা, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিডি জবসের সিইও একেএম ফাহিম মাশরুর, শেয়ার ট্রিপ লিমিটেডের সিইও সাদিয়া হক, শিখো প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শাহীর চৌধুরী।
দ্বিতীয় অধিবেশনের বক্তা ছিলেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী প্রমুখ
প্রথম অধিবেশনে  বেসিস সাবেক সভাপতি ও বিডিজবস সিইও  এ কে এম ফাহিম মাসরুর বলেন,  যুব সমাজকে চাকরির প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন নিরীক্ষার দিকে যেতে হবে। বিসিএস কিংবা একটি নির্দিষ্ট সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্নে আটকে না থেকে নিজস্ব দক্ষতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট নয়, অন্তর্গত দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সময় এখন। আমরা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশনের কথা বললেও এখনও থার্ড ইন্ডাস্ট্রির ধাপই পার হতে পারিনি। সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহৃত হচ্ছে না বললেই চলে। যুব সমাজের মানসিকতা ও দক্ষতা উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও গবেষণা ছাড়া কোনো কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, সেই বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনের মানোন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার গুণগত মান অর্জন সম্ভব নয়। উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ বিনিয়োগ প্রবেশাধিকার, ব্যাংক সহায়তা ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের পরিবেশ তৈরি করা না গেলে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে।

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে। বিশাল বেকারত্বের চাপ, বিশেষ করে তরুণদের ওপর বেশি পড়ছে। সরকারি চাকরির নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ এবং বিসিএস নির্ভর মানসিকতা তরুণদের বিকল্প কর্মসংস্থান থেকে দূরে রাখছে। অন্যদিকে আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলো যেসব পদের চাহিদা তৈরি করছে, তার তুলনায় দক্ষ জনবল খুব কম। আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোয় প্রচুর পরিমাণে ডিজাইনার দরকার, প্যাটার্ন মাস্টার দরকার। ভাষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থাকে দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষায় রূপান্তর করতে হবে। দেশে কেবল ম্যানেজার নয়, প্রয়োজন কার্যকর চ্যানেল, যারা দক্ষতা দিয়ে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।

সেমিনারে সরকারের দক্ষতা ও উন্নয়ন কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন সঞ্চালক ও সভাপতি সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। উপস্থাপনায় ডিজিটাল লিটারেসি, ইন্টারনেটের অ্যাক্সেস, ন্যায্য খরচ ও দক্ষতা বিকাশের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে বসে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু ২০ শতাংশ ইন্টারনেটের ওপর শুল্ক আরোপ সেই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে। নীতি নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি জোর দেন আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তায়। বলেন, কারিগরি শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, ভাষাগত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে অন্তত পাঁচ-ছয়টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে, কিন্তু তাদের মধ্যে সমন্বয় নেই। 

তিনি বলেন, যুব সমাজকে চাকরির প্রচলিত ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন নিরীক্ষার দিকে যেতে হবে। বিসিএস কিংবা একটি নির্দিষ্ট সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্নে আটকে না থেকে নিজস্ব দক্ষতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে মন্তব্য করেন ফাহমিদা। তিনি আরও বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা শ্রমবাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা শেখানো হচ্ছে, তার বাস্তব প্রয়োগ নেই, বাজারেও চাহিদা নেই। ফলে যত বেশি শিক্ষিত হচ্ছে, তত বেকারত্ব বাড়ছে।

সিপিডির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কমানোকে যুক্তিসঙ্গত দেখানোর চেষ্টা হলেও বাস্তবে বাজেট ব্যবহারে মন্ত্রণালয়গুলো পিছিয়ে থাকার মূল কারণ প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাব। বিনিয়োগ ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, অনেক তরুণ উদ্যোক্তা হতে চাইলেও মূলধনের সংকটে পড়েন। তাদের ব্যাংকিং রেকর্ড না থাকায় সহজে ঋণ পান না। ফলে উদ্যোক্তা উন্নয়নেও বাধা তৈরি হয়।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেশের উচ্চশিক্ষিত তরুণদের বেকারত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, শিক্ষিত বেকার যুবক। শিক্ষা শেষে সবাই চায় একটা চাকরি এবং সরকারি চাকরি। সরকারি চাকরি প্রথম পছন্দ। সরকারি চাকরিতে অনেক মজা আছে। বেতন যাই থাকুক না কেন অনেক ধরনের সুবিধা আছে।

‘তুমি মাল্টিবিলিনিয়ার হতে পারো। তুমি অনেক ধনী হতে পারো। দেখছেন তো কানাডায়, আমেরিকায়, ইন্দোনেশিয়ায়, মালয়েশিয়ায় বাড়ি করা যায়। ঢাকা শহরে ছোট একটি বাড়ি হলেও হবে, তবে কমপক্ষে যেন ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। বেতন হিসাব করে দেখুন, এসব অ্যাফোর্ডেবল না। আমি সবার কথা বলছি না। তবে অনেক ভালো-সৎ অফিসার আছে’- যোগ করেন তিনি। 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে গত কয়েক বছরে এই ট্রেন্ড হয়ে গেছে। যদি কোনো কিছু কিনতে হয়, দাম যদি ১০০ টাকা হয়, এর মধ্যে ২০০ টাকা ঢোকাও। ২০০ টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে যায়। এটা আমার ১০-১১ মাসের অভিজ্ঞতা। শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, সমস্যা হলো শিক্ষিত বেকারের কথা যদি বলি, আমেরিকায় গিয়ে আমরা ট্যাক্সি চালাব, রেস্টুরেন্টে কাজ করব, কিন্তু বাংলাদেশে করতে পারি না। এটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশে একটা সোশ্যাল ট্যাবু হয়ে গেছে, ট্যাক্সি চালালে বিয়ের বাজারে সে অচল।

শাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রচলিত ধারণা ভাঙতে হবে যে সরকারি চাকরিই একমাত্র গন্তব্য। একটি কারিগরি স্কিল দিয়ে ছোট একটি উদ্যোগ শুরু করলেও সম্মানজনক কর্মসংস্থান সম্ভব। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, সৌদি আরবে ৯০ শতাংশ নারী শ্রমিক গৃহকর্মী, কিন্তু কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকের অভাব। অথচ বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও যুবকরা এদিকে আগ্রহী নয়।

গবেষণার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কথা পছন্দ নাও হতে পারে। সরকারের লোকজন দিয়ে এই ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা করাতে পারবেন না। কারণ আমাদের মন-মানসিকতা হচ্ছে নয়টা-পাঁচটা। পাঁচটার সময় আমরা অফ। সারাদিন ফাইল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করি, আমাদের গবেষণা বলতে কোনো কিছু নেই।  

 তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন, যা শ্রম অধিকার ও প্রশিক্ষণে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘কর্মসংস্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবে ৯০ শতাংশ নারী শ্রমিক গৃহকর্মী, কিন্তু কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকের অভাব। অথচ বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও যুবকরা এদিকে আগ্রহী নয়।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি যশোরে গিয়ে এমএ পাস করা পাঁচজন তরুণকে পিঠা বানাতে দেখেছি। তারা জানাল, চাকরি না পেয়ে পিঠার ফ্যাক্টরি করেছে এবং ভবিষ্যতে একে রফতানিমুখী করতে চায়। তার মতে, আমেরিকায় গিয়েও মানুষ ট্যাক্সি চালায় বা রেস্টুরেন্টে কাজ করে, কিন্তু বাংলাদেশে এমন কাজ করলে সামাজিক বাধা আসে।

আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রম উপদেষ্টা ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রায় ২ কোটি বেকার যুবক রয়েছেন, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশের কোনো কারিগরি জ্ঞান নেই। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কারিগরি শিক্ষার প্রসারে এবং এই খাতে বাজেট বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে।’ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরে কর্মের মর্যাদা এবং সুযোগ নিয়ে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সারা বিশ্বে এখন দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’

স্বাস্থ্য খাতের আলোচনায় এনসিপি সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা  বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে হেলথ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড, ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন, একটা স্ট্রাকচারাল ডিজিটাল ওয়েলফেয়ার পাথওয়ে, কম্প্রিহেনসিভ ইমার্জেন্সি সার্ভিস এবং মডার্নাইজ হেলথওয়ার্ক ফর স্ট্র্যাটেজি প্রয়োজন। পেটে ব্যথার একটি উদাহরণ দিয়ে পুরো স্বাস্থ্যসেবার সংস্কারের পরামর্শ তুলে ধরে তিনি বলেন, পেটে ব্যথা হলে আমি কী করবো? সিরিয়াস কিছু নাকি ধৈর্য নিয়ে নিজের যত্ন করলেই হবে। এটার জন্য সার্চ করে। কিন্তু নির্ভরযোগ্য পথ নেই। এ জন্য হেলথ ইনফরমেশন একটা অ্যাপস দরকার।

বক্তব্যে  সংসদ সদস্য (এমপি) কিংবা চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাদেরকে বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে হবে এমন আইন করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন ডাক্তারকে আপনি ২০ হাজার টাকা বেতন দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা তাকে দিয়ে পরিশ্রম করাবেন, তখন সেই ডাক্তারের কাছ থেকে ভালো সেবা আপনি পাবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।  চিকিৎসা একটি টিম ওয়ার্ক। ডাক্তাররাই কেবল চিকিৎসা দেন না। এর সাথে নার্স এবং টেকনিশিয়ানরাও জড়িত। এর সাথে আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি ধরনের যন্ত্রপাতি দিয়ে হচ্ছে সেগুলোও জড়িত। সার্বিকভাবে সেই জিনিসগুলোর মান যদি ভালো না থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসা অত বেশি ভালো হবে না।